সংঘর্ষে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ আহত ১৫

Slider রাজনীতি

d

 

কুষ্টিয়ায় মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় দুই চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীসহ কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে কালেক্টরেট চত্বরের পাশেই অবস্থিত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। চতুর্থ দফায় ৭ মে কুষ্টিয়া সদরের ১১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখতারুজ্জামান বিশ্বাস এবং স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সিরাজুল হক তাঁদের কয়েক শ সমর্থক নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে যান। আখতারুজ্জামান বিশ্বাস মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের দিকে আসার সময় হঠাৎ করেই তাঁর গাড়িবহরে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে মডেল থানার পুলিশ গিয়ে দুজনকে আটক করে। পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
হামলায় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী আখতারুজ্জামান বিশ্বাস, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি কায়সার রহমান, তোফাজ্জেল হোসেন, আরশেদুল হক, ইকবাল হোসেন, মহন, মাসুদ গাইন, আলিমসহ আরও কয়েকজন কর্মী আহত হন। এর মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রলীগের নেতা কায়সারকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হকসহ তাঁর কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
আখতারুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, ‘সিরাজ বিএনপির সমর্থক। তাঁর হয়ে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হত্যা করার জন্য যুবলীগের নেতা আলিমের লোকজন হামলা করে। আমার কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা। সিরাজের লোকজন আমাকে হুমকি দিচ্ছে।’ স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল হক বলেন, ‘আখতারের লোকজনই আমার ছেলেসহ কর্মীদের ওপর প্রথমে হামলা করে। ঠেকাতে গেলে আমার ওপরও হামলা করে তারা। এ ঘটনার জন্য আখতার দায়ী।’ কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ছোট বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছিল। দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গেছে।
জেলা আওয়ামী লীগের একটি সূত্রে জানা গেছে, আলামপুর ইউনিয়নে আখতারুজ্জমান বিশ্বাস আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেলেও স্থানীয় একটি পক্ষের সঙ্গে তাঁর বিরোধ রয়েছে। ওই পক্ষটিও আওয়ামী লীগের সমর্থক। এ কারণে আখতারকে হারাতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতা সিরাজকে ভেতরে ভেতরে সমর্থন দিচ্ছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীর ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। যারা এ ঘটনার জন্য দায়ী, তাঁদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *