টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগের নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এই মামলায় আওয়ামী লীগের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রোরি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মো. আমিনুল ইসলাম এই মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক ১০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সাংসদ রানা, তার তিন ভাই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান মুক্তি এবং ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকনসহ মোট ১৪ জনকে আসামি করে গত ৪ ফেব্রুয়ারি পুলিশ এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয়। পলাতক বাকি ছয়জন হলেন কবির হোসেন, মাসুদ মিয়া, চাঁন, নুরু, সানোয়ার হোসেন ও দাঁত ভাঙ্গা বাবু। এছাড়া অপর চার আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী, ফরিদ মিয়া ও সমির জেল হাজতে রয়েছেন। ২০১৩ সালের ১৮ই জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার সামনে পাওয়া যায়। হত্যার তিনদিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।