রাতুল মন্ডল, স্টাফ রিপোর্টার শ্রীপুর অফিস: সাংবাদিক বজলুর রহমান ছিলেন প্রখর মেধাদীপ্ত। ইতিহাসের যে কোনো কিছু তিনি মুহূর্তেই বলতে পারতেন। অনেকটা এনসাইক্লোপিডিয়ার মতো। তিনি সৎ ও নির্ভীক সাংবাদিকতার অনন্য পথিকৃৎ ছিলেন। তিনি নিভৃতে কাজ করতেন। বৃহত্তর মানুষের কল্যাণ এবং গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রাদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাই ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। আমরা স্কুলের ছাত্রী থাকার সময় উনার কাছ থেকে রবীন্দ্র সংগীতের তালিকা নিতাম।
প্রখ্যাত সাংবাদিক দৈনিক সংবাদের সম্পাদক বজলুর রহমান সম্পর্কে এভাবেই মূল্যায়ন করেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
রোববার (০৩ এপ্রিল) বিকেল পাঁচটায় জাতীয় জাদুঘর প্রধান মিলনায়তনে বজলুর রহমান স্মৃতিপদক-২০১৫ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
স্পিকার বলেন, বজলুর রহমান সারাজীবন বস্তুনিষ্ঠ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করতেন।
ষাটের দশকে সামরিক শাসনবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশগ্রহণকারী বজলুর রহমান মুক্তিযুদ্ধকালে ‘মুক্তিযুদ্ধ’ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে জনমত সৃষ্টি করেন। ড. শিরীন শারমিন বলেন, তিনি আফ্রো-এশীয় গণসংহতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে মধ্য প্রাচ্যের দেশ সমূহে বাংলাদেশের স্বীকৃতির জন্য বিশেষ অবদান রেখে গেছেন। তিনি নিজের কাজের প্রচার করতেন না, মানুষের মাঝে থাকতে ভালোবাসতেন।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য সংবাদপত্র মাধ্যমে পুরস্কৃত হন গাজীপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক গণমুখের স্টাফ রিপোর্টার কবি ইজাজ আহমেদ মিলন এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় পুরস্কৃত হন মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের নিজেস্ব প্রতিবেদক মৌমিতা জান্নাত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জুরিবোর্ডের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, জিয়াউদ্দিন তারেক আলী, জুরি বোর্ড সদস্য নওয়াজেশ আলী খান ও মেজর (অব) এ এস এম সামছুর আরেফিন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী ও বিভিন্ন সংদস্যরাও ।
টি.আই সানি
প্রতিবেদক, ০১৭৩৩-১০০২৩৬
০৪-০৪-১৬