বগুড়া : সোনাতলায় নির্বাচনী সহিংসতায় দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জের পাশাপাশি ২৫ রাউন্ড গুলি ছুড়েছে। সহিংসতা এড়াতে স্থানীয় প্রশাসনে পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে সোনাতলা উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের পাঠানপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, পাঠানপাড়া গ্রামে ব্যাপারী পরিবারের সঙ্গে মিয়া পরিবারের দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে একই গ্রামের ব্যাপারী পরিবারের প্রার্থী সেলিম পরাজিত হন এবং মিয়া পরিবার থেকে আব্দুস সামাদ বিজয়ী হন।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে বিজয়ী মেম্বার আব্দুস সামাদের কর্মী সর্থকরা গ্রামের একটি সরকারি খাস পুকুর দখলে নিতে গেলে পরাজিত প্রার্থী সেলিমের লোকজন বাধা দেয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। তিন ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও বল্লম ছাড়াও দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে মিজান, সাহেব আলী, মিঠু, ঠান্ডা মিয়া, রশিদ, মমিুনুল, মানিক ও জয়নাল আবেদীন সোনাতলা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে জয়নালী আবেদীনের অবস্থার অবনতি হওয়ায তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এদিকে, সংঘর্ষ থামাতে সোনাতলা থানা পুলিশ প্রথমে লাঠিচার্জ শুরু করলে গ্রামবাসী পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আসলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত পাঠানপাড়া গ্রামে ১৪৪ ধারা জারি করেন। পরে মাইকে প্রচার করে ১৪৪ ধারা মেনে চলার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এদিকে সংঘর্ষের পর এলাকায় বিপুল পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আতংকে গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোতালেব জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। নতুন করে সংঘর্ষের আশঙ্কায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিুবর রহমান জানান, পুনরায় লোকজন সমবেত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে একারণে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।