নজরুল ইসলামসহ ৫ জন অপহরণ হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে এমপি শামীম ওসমানের কাছে যাই। তিনি আমার মেয়েকে (নজরুলের স্ত্রী) বলেন, চিন্তা করিস না। নজরুলকে জীবিত উদ্ধার করে দিবো। কিছু সময় পর এমপি সাহেব বলেন, আপনারা র্যাব-১১ এর অফিসে যান। সেখানে নজরুল আছে। র্যাব অফিসে যাওয়ার পর তারেক সাঈদ বললেন, এমপি’র (শামীম ওসমান) সঙ্গে নজরুলের সম্পর্ক খারাপ। মেয়র আইভীর সঙ্গে ভালো। আমরা অপহরণ করিনি, শামীম ওসমান অপহরণ করেছে, তার কাছে যাও।
গতকাল নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সেভেন মার্ডারের মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান আদালতকে এসব কথা বলেন। পরে তাকে লে. কর্র্নেল (চাকরিচ্যুত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (চাকরিচ্যুত) আরিফ হোসেন, নাসিক কাউন্সিলর (বরখাস্ত) নূর হোসেনসহ ৩৫ আসামির পক্ষের আইনজীবীরা পর্যায়ক্রমে জেরা করেন। এ সময় একাধিকবার বিরক্ত হয়ে নূর হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহাকে উদ্দেশ্য করে শহীদুল ইসলাম বলেন, তালই (বেয়াই) এবার মাপ করে দেন, অনেক হইছে। আবার কিছুক্ষণ পরে বলেন, বাজান শেষ করেন না। শহীদুল ইসলাম ছাড়াও এদিন শাহজালাল নামে আরেকজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। শাহজালাল নিহত নজরুল ইসলামের সহযোগী। দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রদান শেষে আদালত আগামী ৪ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন। এবং ওইদিন থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় বিচারকার্য শুরু হবে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের জানিয়ে দেন। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার মধ্যে ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, গতকাল দুইজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী ৪ঠা এপ্রিল অন্যদের সাক্ষ্য নেয়া হবে। জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ওই সাক্ষী শুনানি হয়।
আদালতে যা বললেন:
সাত খুনের ঘটনার পর নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন এই শহীদ চেয়ারম্যান। ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে নূর হোসেন র্যাবকে দিয়ে ৭ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন দাবি করে গণমাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। তাই গতকাল আদালতে তার সাক্ষ্য প্রদান আইনজীবী ও উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আদালতে শহীদুল ইসলাম বলেন-২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল দুপুর ২টায় জানতে পারি নজরুলসহ ৫ জনকে র্যাব পরিচয়ে লিঙ্ক রোডের স্টেডিয়ামের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি, আমার মেয়ে নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বিউটিসহ আমার আত্মীয়-স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসি। এবং দেখি ৪/৫ জন লোক কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পারি একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার থেকে ৫ জনকে নামিয়ে জোরপূর্বক র্যাব তুলে নিয়ে গেছে। আসরের নামাজের পর আমরা নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে গিয়ে ঘটনাটি এমপি শামীম ওসমানকে জানাই। এমপি সাহেব বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেন। এবং আমার মেয়েকে (নজরুলের স্ত্রী) বলেন চিন্তা করিস না। নজরুলকে জীবিত উদ্ধার করে দিবো। ওই সময় নজরুলকে অপহরণের খবর শুনে সিদ্ধিরগঞ্জবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে এবং শহরের পুরাতন কোর্টে অবস্থিত র্যাব-১১’র অফিস ঘেরাও করে। ওই সময় র্যাব-১১’র অধিনায়ক তারেক সাঈদ এমপি সাহেবকে (শামীম ওসমানকে) টেলিফোন করেন। তখন এমপি সাব আমাদের বলেন, আপনারা র্যাব অফিসে যান, সেখানে নজরুল আছে। এ খবরে আমি, আমার মেয়ে (বিউটি) ২ বেয়াইসহ অন্য আত্মীয়-স্বজনরা আদমজীতে র্যাব-১১’র প্রধান কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে যাই। সেখানে গেলে গেটে আমাদের সকলের মোবাইল ফোন রেখে দিয়ে তারেক সাঈদের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তারেক সাঈদ আমাদের প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় জানতে চায়। এরপর তিনি জানতে চান, র্যাব অফিস ঘেরাও করেছি কেন? আন্দোলন কিসের? আমরা বলি নজরুলসহ ৫ জন নিখোঁজ হয়ে গেছে। এজন্য র্যাব কার্যালয় ঘেরাও দিয়েছি। তখন তারেক সাঈদ জানতে চান- নজরুলের সঙ্গে শামীম ওসমানের সর্ম্পক কেমন? বলি ভালো সর্ম্পক। ছাত্রজীবন থেকেই এমপি সাব তাকে গড়ে তুলেছে। তখন তারেক সাঈদ বলেন, এমপি’র সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক, আর আইভীর সঙ্গে ভালো সর্ম্পক। এরপর তিনি বলেন, আমরা নজরুলকে অপহরণ করিনি। শামীম ওসমানের কাছে যাও। শামীম ওসমান অপহরণ করেছে। তখন আমরা বললাম এমপি সাব আপনার কাছে পাঠাইছে। আপনি ফেরত দিবেন। ওই সময় আমিসহ আমার আত্মীয়-স্বজনরা রিকোয়েস্ট করে বললাম নজরুলকে ফেরত দেন। প্রাণভিক্ষা চাইলাম। এরপর তার (তারেক সাঈদের) পা জড়িয়ে ধরে বললাম, নূর হোসেন তাকে মারার জন্য যত টাকা দিছে তার ডাবল আমি দিমু। তারেক সাঈদ ঝাড়া দিয়ে পা ছাড়িয়ে বাইরে চলে যান।
মামলার অপর সাক্ষী নিহত নজরুলের সহযোগী শাহজালাল আদালতে বলেন, ঘটনার দিন তিনি ও নিহত নজরুল ইসলামসহ মোট ১৮ জন আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। দুপুরে হাজিরা শেষে নজরুলসহ ৫ জন একটি প্রাইভেট কারে করে ঢাকার দিকে চলে যান। তিনিসহ অন্যরা বাড়ি চলে যান। পরে টিভিতে দেখতে পান, নজরুল কাউন্সিলরসহ ৫ জন অপহৃত হয়েছে। এর বেশি কিছু তিনি আদালতে বলেননি।
গতকাল নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সেভেন মার্ডারের মামলায় সাক্ষ্য দিতে এসে নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান আদালতকে এসব কথা বলেন। পরে তাকে লে. কর্র্নেল (চাকরিচ্যুত) তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর (চাকরিচ্যুত) আরিফ হোসেন, নাসিক কাউন্সিলর (বরখাস্ত) নূর হোসেনসহ ৩৫ আসামির পক্ষের আইনজীবীরা পর্যায়ক্রমে জেরা করেন। এ সময় একাধিকবার বিরক্ত হয়ে নূর হোসেনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খোকন সাহাকে উদ্দেশ্য করে শহীদুল ইসলাম বলেন, তালই (বেয়াই) এবার মাপ করে দেন, অনেক হইছে। আবার কিছুক্ষণ পরে বলেন, বাজান শেষ করেন না। শহীদুল ইসলাম ছাড়াও এদিন শাহজালাল নামে আরেকজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। শাহজালাল নিহত নজরুল ইসলামের সহযোগী। দুইজন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রদান শেষে আদালত আগামী ৪ এপ্রিল পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য্য করেন। এবং ওইদিন থেকে সকাল সাড়ে ৯টায় বিচারকার্য শুরু হবে বাদী ও বিবাদী পক্ষের আইনজীবীদের জানিয়ে দেন। এর আগে সকালে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থার মধ্যে ২৩ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ওয়াজেদ আলী খোকন জানান, গতকাল দুইজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। আগামী ৪ঠা এপ্রিল অন্যদের সাক্ষ্য নেয়া হবে। জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে ওই সাক্ষী শুনানি হয়।
আদালতে যা বললেন:
সাত খুনের ঘটনার পর নানা কারণে আলোচনায় ছিলেন এই শহীদ চেয়ারম্যান। ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে নূর হোসেন র্যাবকে দিয়ে ৭ খুনের ঘটনা ঘটিয়েছেন দাবি করে গণমাধ্যমে আলোচিত ব্যক্তিতে পরিণত হন। তাই গতকাল আদালতে তার সাক্ষ্য প্রদান আইনজীবী ও উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে ছিল গুরুত্বপূর্ণ। আদালতে শহীদুল ইসলাম বলেন-২০১৪ সালের ২৭শে এপ্রিল দুপুর ২টায় জানতে পারি নজরুলসহ ৫ জনকে র্যাব পরিচয়ে লিঙ্ক রোডের স্টেডিয়ামের সামনে থেকে অপহরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে আমি, আমার মেয়ে নিহত নজরুলের স্ত্রী সেলিনা আক্তার বিউটিসহ আমার আত্মীয়-স্বজনরা ঘটনাস্থলে আসি। এবং দেখি ৪/৫ জন লোক কাজ করছে। তাদের কাছ থেকে জানতে পারি একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কার থেকে ৫ জনকে নামিয়ে জোরপূর্বক র্যাব তুলে নিয়ে গেছে। আসরের নামাজের পর আমরা নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে গিয়ে ঘটনাটি এমপি শামীম ওসমানকে জানাই। এমপি সাহেব বিভিন্ন জায়গায় ফোন করেন। এবং আমার মেয়েকে (নজরুলের স্ত্রী) বলেন চিন্তা করিস না। নজরুলকে জীবিত উদ্ধার করে দিবো। ওই সময় নজরুলকে অপহরণের খবর শুনে সিদ্ধিরগঞ্জবাসী ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক অবরোধ করে এবং শহরের পুরাতন কোর্টে অবস্থিত র্যাব-১১’র অফিস ঘেরাও করে। ওই সময় র্যাব-১১’র অধিনায়ক তারেক সাঈদ এমপি সাহেবকে (শামীম ওসমানকে) টেলিফোন করেন। তখন এমপি সাব আমাদের বলেন, আপনারা র্যাব অফিসে যান, সেখানে নজরুল আছে। এ খবরে আমি, আমার মেয়ে (বিউটি) ২ বেয়াইসহ অন্য আত্মীয়-স্বজনরা আদমজীতে র্যাব-১১’র প্রধান কার্যালয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে যাই। সেখানে গেলে গেটে আমাদের সকলের মোবাইল ফোন রেখে দিয়ে তারেক সাঈদের রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। তারেক সাঈদ আমাদের প্রত্যেকের নাম, ঠিকানা ও পরিচয় জানতে চায়। এরপর তিনি জানতে চান, র্যাব অফিস ঘেরাও করেছি কেন? আন্দোলন কিসের? আমরা বলি নজরুলসহ ৫ জন নিখোঁজ হয়ে গেছে। এজন্য র্যাব কার্যালয় ঘেরাও দিয়েছি। তখন তারেক সাঈদ জানতে চান- নজরুলের সঙ্গে শামীম ওসমানের সর্ম্পক কেমন? বলি ভালো সর্ম্পক। ছাত্রজীবন থেকেই এমপি সাব তাকে গড়ে তুলেছে। তখন তারেক সাঈদ বলেন, এমপি’র সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক, আর আইভীর সঙ্গে ভালো সর্ম্পক। এরপর তিনি বলেন, আমরা নজরুলকে অপহরণ করিনি। শামীম ওসমানের কাছে যাও। শামীম ওসমান অপহরণ করেছে। তখন আমরা বললাম এমপি সাব আপনার কাছে পাঠাইছে। আপনি ফেরত দিবেন। ওই সময় আমিসহ আমার আত্মীয়-স্বজনরা রিকোয়েস্ট করে বললাম নজরুলকে ফেরত দেন। প্রাণভিক্ষা চাইলাম। এরপর তার (তারেক সাঈদের) পা জড়িয়ে ধরে বললাম, নূর হোসেন তাকে মারার জন্য যত টাকা দিছে তার ডাবল আমি দিমু। তারেক সাঈদ ঝাড়া দিয়ে পা ছাড়িয়ে বাইরে চলে যান।
মামলার অপর সাক্ষী নিহত নজরুলের সহযোগী শাহজালাল আদালতে বলেন, ঘটনার দিন তিনি ও নিহত নজরুল ইসলামসহ মোট ১৮ জন আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। দুপুরে হাজিরা শেষে নজরুলসহ ৫ জন একটি প্রাইভেট কারে করে ঢাকার দিকে চলে যান। তিনিসহ অন্যরা বাড়ি চলে যান। পরে টিভিতে দেখতে পান, নজরুল কাউন্সিলরসহ ৫ জন অপহৃত হয়েছে। এর বেশি কিছু তিনি আদালতে বলেননি।