সম্পাদকীয়: সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পুলিশে রদবদল ও সন্ত্রাসী গ্রেফতার জরুরী

Slider জাতীয় টপ নিউজ রাজনীতি সম্পাদকীয়

images

ব্যালটে সিল মারা ও সিল মেরে বাক্স ভরে রাখার বিরুদ্ধে যেহেুতু নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে তাই সু্ষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে স্থানীয় পুলিশে ব্যাপক রদবদল প্রয়োজন । এটা হলে নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হতে পারে।

গনমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদ পর্যালোচনায় দেখা যায়, দীর্ঘ সময় এক স্টেশনে কর্মরত থাকায় পুলিশের সঙ্গে অপরাধ প্রবণ ব্যাক্তিদের একটি সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। একাধিক মামলার আসামী ও স্থাণীয় অনেক শীর্ষ সন্ত্রাসী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হওয়ায় তারা সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় তারা পুলিশের বিশেষ আনুগত্য পাচ্ছেন। একই সঙ্গে ওই সকল প্রার্থীদের সঙ্গে থাকা একাধিক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা ভূক্ত প লাতক আসামীরাও প্রচারণায় অংশ নিচ্ছেন। ফলে সাধারণ ভোটাররা ভয়ে ওই সকল সন্ত্রাসীদের সঙ্গে সূর মিলিয়ে আছেন। এতে সাধারণ মানুষ বাকরুদ্ধ হয়ে নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রচারণায় থাকছেন। এই ধরণের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত অনেক প্রার্থী ভয় দেখিয়ে সমাজের নানা শ্রেনী পেশার মানুষকে তাদের নির্বাচন করতে বাধ্য করছেন। ফলে মানুষের বাক স্বাধীনতার বহি:প্রকাশ ঘটছে না। এই ধরণের অবস্থা চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

সরকারী গোয়েন্দা সূত্র বলছে, মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে তারা ওসি পর্যায়ে ওই ধরণের অভিযোগ পেয়েছেন। তাই সংশ্লিষ্ট জেলার  গুলোর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) ও থানার ওসিদের সাধ্যমত বদলির সুপারিশ করেছেন।

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টগুলো যাচাই বাছাই করে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। যারা ভোট গ্রহনের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে সত্যতা যাচাইয়ের পর গ্রেফতারও করা হচ্ছে। এই তালিকার বাইরে আইন শৃৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও নয়।

সাধারণ মানুষ মনে করেন, শত বিতর্কের মাঝে চলমান স্থানীয় সরকার নির্বাচন সাধ্যমত অবাধ ও সুষ্ঠু করতে হলে মাঠ পর্যায়ে পুলিশে রদবদল না করলে নির্বাচন সুষ্ঠু করা কঠিন হবে।

 

ড. এ কে এম রিপন আনসারী

এডিটর ইন চীফ

গ্রামবাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *