রাঙামাটির ১০ উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মধ্যে ১৯টিতেই চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিতে পারেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী নেই ২৭ ইউনিয়নে। এর মধ্যে রাঙামাটি সদর ও জুরাছড়ি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কোনোটিতেই প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থী নেই। ভয়ের কারণে কেউ প্রার্থী হতে চাননি বলে দুই দলের নেতারা জানিয়েছেন।
তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে রাঙামাটির এমন চিত্র পাওয়া গেছে। আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপের নির্বাচন হবে।
প্রার্থী দিতে না পারার কারণ হিসেবে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র তৎপরতা ও হুমকির কারণে ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নেতা-কর্মীদের কেউ প্রার্থী হতে চাননি। অন্যদিকে বিএনপির নেতারা বলছেন, বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রার্থী হওয়ার মতো দলের আগ্রহী কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে রাঙামাটি সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁরা হলেন জীবতলী ইউনিয়ন পরিষদে সুদত্ত কার্বারি এবং মগবান ইউনিয়ন পরিষদে বিশ্বজিৎ চাকমা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন। ওই প্রার্থীরা নিজ নিজ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।
আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ইউপি নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। সংগঠন দুটির নেতারা বলছেন, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর প্রার্থী দেখে তাঁরা সমর্থন দেবেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র তৎপরতা ও হুমকির কারণে ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলের কেউ প্রার্থী হতে চাননি। কয়েকটি ইউনিয়নে হুমকির মুখে দলের প্রার্থীরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সেই সংখ্যা কত—জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঘাইছড়ির দুজন প্রার্থী হুমকির মুখে এলাকা ছেড়েছেন। অন্যদের অবস্থা পরে জানাতে পারবেন। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে রাঙামাটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে নিজের সংশয়ের কথা জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাঙামাটি সদর ও জুরাছড়ি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কোনোটিতেই প্রার্থী দিতে পারেননি তাঁরা। এ ছাড়া বরকলে পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে প্রার্থী নেই। নানিয়ারচর উপজেলার চারটির মধ্যে মাত্র একটিতে এবং বাঘাইছড়ির আটটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী দিতে পেরেছেন। কাউখালী, রাজস্থলী, লংগদু, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলায় সব কটি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন বলে জানান তিনি।
১০ উপজেলার মধ্যে রাঙামাটি সদর, নানিয়ারচর ও জুরাছড়ি উপজেলার কোনো ইউনিয়নেই দলের কেউ প্রার্থী হতে চাননি বলে জানান রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, বরকল উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতেই প্রার্থী নেই। বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতেই দলের কেউ প্রার্থী হননি। বিলাইছড়ি উপজেলায় তিনটির মধ্যে একটিতে, কাউখালী উপজেলায় চারটির মধ্যে একটিতে দলীয় প্রার্থী নেই। তবে লংগদু, কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলায় সব কটি ইউনিয়ন পরিষদে দলের প্রার্থী রয়েছেন। বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে—এই অভিযোগের বিষয়ে জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা বলেন, এটি মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ। জনসংহতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এ ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন হারিয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা সেটা বুঝতে পেরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস করছেন না।
অন্যদিকে ইউপিডিএফের তথ্য বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এটা একটা অছিলা। তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন না থাকায় নির্বাচন না করে সেটাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে।’
প্রার্থী দিতে না পারার কারণ হিসেবে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, স্থানীয় রাজনৈতিক দলের সশস্ত্র তৎপরতা ও হুমকির কারণে ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নেতা-কর্মীদের কেউ প্রার্থী হতে চাননি। অন্যদিকে বিএনপির নেতারা বলছেন, বৈরী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে প্রার্থী হওয়ার মতো দলের আগ্রহী কাউকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে রাঙামাটি সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নে একক প্রার্থী থাকায় চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে চলেছেন দুজন স্বতন্ত্র প্রার্থী। তাঁরা হলেন জীবতলী ইউনিয়ন পরিষদে সুদত্ত কার্বারি এবং মগবান ইউনিয়ন পরিষদে বিশ্বজিৎ চাকমা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম শাহাদাত হোসেন। ওই প্রার্থীরা নিজ নিজ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান।
আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি এবং ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ইউপি নির্বাচনে কোনো প্রার্থীকে সমর্থন দেয়নি। সংগঠন দুটির নেতারা বলছেন, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পর প্রার্থী দেখে তাঁরা সমর্থন দেবেন।
রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র তৎপরতা ও হুমকির কারণে ১৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে দলের কেউ প্রার্থী হতে চাননি। কয়েকটি ইউনিয়নে হুমকির মুখে দলের প্রার্থীরা এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। সেই সংখ্যা কত—জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাঘাইছড়ির দুজন প্রার্থী হুমকির মুখে এলাকা ছেড়েছেন। অন্যদের অবস্থা পরে জানাতে পারবেন। সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা না গেলে রাঙামাটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না, তা নিয়ে নিজের সংশয়ের কথা জানান তিনি।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, রাঙামাটি সদর ও জুরাছড়ি উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কোনোটিতেই প্রার্থী দিতে পারেননি তাঁরা। এ ছাড়া বরকলে পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে একটিতে প্রার্থী নেই। নানিয়ারচর উপজেলার চারটির মধ্যে মাত্র একটিতে এবং বাঘাইছড়ির আটটি ইউনিয়নের মধ্যে তিনটিতে প্রার্থী দিতে পেরেছেন। কাউখালী, রাজস্থলী, লংগদু, কাপ্তাই ও বিলাইছড়ি উপজেলায় সব কটি ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছেন বলে জানান তিনি।
১০ উপজেলার মধ্যে রাঙামাটি সদর, নানিয়ারচর ও জুরাছড়ি উপজেলার কোনো ইউনিয়নেই দলের কেউ প্রার্থী হতে চাননি বলে জানান রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শাহ আলম। তিনি বলেন, বরকল উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের মধ্যে চারটিতেই প্রার্থী নেই। বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে সাতটিতেই দলের কেউ প্রার্থী হননি। বিলাইছড়ি উপজেলায় তিনটির মধ্যে একটিতে, কাউখালী উপজেলায় চারটির মধ্যে একটিতে দলীয় প্রার্থী নেই। তবে লংগদু, কাপ্তাই ও রাজস্থলী উপজেলায় সব কটি ইউনিয়ন পরিষদে দলের প্রার্থী রয়েছেন। বৈরী রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য এ অবস্থা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে—এই অভিযোগের বিষয়ে জনসংহতি সমিতির তথ্য ও প্রচার সম্পাদক মঙ্গল কুমার চাকমা বলেন, এটি মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ। জনসংহতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে এ ধরনের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন না করায় তৃণমূল পর্যায়ে জনসমর্থন হারিয়েছে। তাদের নেতা-কর্মীরা সেটা বুঝতে পেরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস করছেন না।
অন্যদিকে ইউপিডিএফের তথ্য বিভাগের প্রধান নিরন চাকমা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও বিএনপির এটা একটা অছিলা। তাদের প্রতি মানুষের সমর্থন না থাকায় নির্বাচন না করে সেটাকে রাজনৈতিক রং দেওয়া হচ্ছে।’