গ্রাম বাংলা ডেস্ক: নিখোঁজ সুনামগঞ্জের প্রবাসী বিএনপি নেতা মুজিবুর রহমান মুজিব ও তার গাড়িচালক সোহেল উদ্ধার হওয়ার পর বিভিন্ন পক্ষের পরস্পরবিরোধী বক্তব্যে রহস্যের জন্ম দিয়েছে।
উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় পার হলেও চালক রেজাউল হক সোহেলের খবর জানে না তার পরিবার। সোহলে উদ্ধার নিয়ে নিয়ে মুজিবের স্বজনদের পক্ষ থেকে পরিপরস্পরবিরোধী তথ্য দেয়ার অভিযোগ করেছেন তার বাবা আব্দুল ওয়াহিদ।
এদিকে, দীর্ঘ সাড়ে তিন মাস পর কীভাবে মুজিব উদ্ধার হয়েছেন সে তথ্য দিতে পারেনি পুলিশ। কারা, কেন তাকে ‘অপহরণ’ করেছিল তাও তদন্ত করে বের করা হবে জানান পুলিশ সুপার।
পরিবারের দেয়া তথ্যমতে, মঙ্গলবার সকালে টঙ্গী ব্রিজের নিকট নিখোঁজ বিএনপি নেতা মুজিবুর ও গাড়ি চালক সোহেলকে ছেড়ে দেয় ‘অপহরণকারীরা’। এর পর থেকে ঢাকার ইউনাইটেড হসাপতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন আছেন মুজিব। স্বজনদের মধ্যে তার সঙ্গে হাসপাতালে অবস্থান করছেন শ্যালক ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, ভাতিজা আবুল হোসেন প্রমুখ।
গাড়িচালক সোহেলের বাবা আব্দুল ওয়াহিদ জানান, গণমাধ্যমে খবর শোনার পর আমি মুজিবের স্বজনদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেছি। তার ভাতিজা আবুল হোসেন জানান, সোমবার রাতে তাকে সুনামগঞ্জে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পরে জানানো হয় তারা দু’জনকে একসঙ্গে সুনামগঞ্জে নিয়ে আসা হবে।
চালক সুহেলের উদ্বিগ্ন বাবা বলেন, তারা দু’জনই একসঙ্গে নিখোঁজ হলেন। অথচ, একজনকে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আর ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও আমার ছেলে কোথায় আছে সেই খবর পর্যন্ত আমি জানি না। অক্ষত অবস্থায় তার ছেলেকে ফেরৎ দিতে প্রশাসনের নিকট দাবি জানান তিনি।
এদিকে, সোহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগের পর পুলিশ সুপার আরও খানিকটা ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন সোহেলের পিতাকে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, মুজিবকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোমবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলামের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের পুলিশের একটি দল ঢাকায় অবস্থান করছে।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুনুর রশীদ বলেন, চিকিৎসা শেষে মুজিবকে সুনামগঞ্জে নিয়ে আসা হবে এবং তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ঘটনার রহস্য জানা যাবে। এর আগে এ ব্যাপারে আগাম কিছু বলার সুযোগ নেই।