কক্সবাজার ও চকরিয়া :ভোটারদের নানা শঙ্কা ও প্রশাসনের সর্বাত্মক প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে আজ কক্সবাজারে মহেশখালী ও চকরিয়া পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ উপলক্ষে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দীন বলেছেন, চকরিয়া পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ডের ১৮টি কেন্দ্রে ১২২ বুথে এবং মহেশখালী পৌরসভার ৯টি কেন্দ্রের ৪২ বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে।
মহেশখালী পৌরসভায় মোট ভোটার ১৭ হাজার ৯৬০। মেয়র পদে ৩ প্রার্থী এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫০ ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের মকছুদ মিয়া, দলটির বিদ্রোহী প্রার্থী সরওয়ার আজম এবং বিএনপির মহিউদ্দিন বাঁশি।
চকরিয়া পৌরসভায় মোট ভোটার ৪২ হাজার ৩০৬। মেয়র পদে ২, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫১ এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ২০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আলমগীর চৌধুরী ও বিএনপির নুরুল ইসলাম হায়দার।
বরিশাল :প্রাচীন শহর ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাচন আজ। শুধু ভোটাররাই নন, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন দুই মেয়র প্রার্থীও। বিএনপির মেয়র প্রার্থী অনাদি দাস বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে বলা হচ্ছে। পৌরবাসী ভোট দিতে পারবেন কি-না সেটাই এখন প্রধান বিষয়। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আফজাল হোসেন বলেন, সাধারণ ভোটাররা আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী লিয়াকত আলী তালুকদার বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বীরা উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির সুযোগ খুঁজছে। এ পৌরসভায় ভোটার ৩৫ হাজার ৪৬১। ৯টি ওয়ার্ডে ৩৭ জন সাধারণ কাউন্সিলর এবং ৩টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন।
রংপুর :হারাগাছ পৌরসভার নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ২০টি ভোটকেন্দ্রে ৪৮ হাজার ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ২০ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ১১টি। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০ জনেরও বেশি অস্ত্রধারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজন থাকবেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের হাকিবুর রহমান মাস্টার, বিএনপির মোনায়েম হোসেন ফারুক, ইসলামী আন্দোলনের জাহিদ হোসেন হাতপাখা প্রতীক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক পৌর মেয়র সাদাকাত হোসেন ঝন্টু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ফেনী : অনিয়ম ঠেকাতে ফেনীর সোনাগাজী পৌরসভা নির্বাচনে কঠোর অবস্থানে রয়েছে প্রশাসন। এ পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১৪ হাজার ১৯০। মেয়র পদে ৬ জন, ৯টি ওয়ার্ডে ৩৬ জন কাউন্সিলর ও ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র পদে লড়ছেন আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, বিএনপির জামাল উদ্দিন সেন্টু, জাতীয় পার্টির মজিবুল হক মানিক, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু নাছের, নাছির উদ্দিন রিপন ও শেখ সেলিম। পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোজাম্মেল হোসেন জানান, ৯টি ভোটকেন্দ্রের সব কয়টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে নির্বাচনকে সুষ্ঠু করার সব পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
নোয়াখালী : কবিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে দু’জন মেয়র প্রার্থী, ৩০ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১০ নারী প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন, জেলা ও পুলিশ প্রশাসন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। এ পৌরসভার ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৩৯৭ জন। কেন্দ্র সংখ্যা ৯টি। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের জহিরুল হক রায়হান ও বিএনপি মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জুর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। পৌরসভার রিটার্নিং অফিসার মো. মনির হোসেন বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে।
কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌরসভার ২০টি কেন্দ্রের প্রায় সবক’টিই ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য সুষ্ঠু ভোট গ্রহণে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের আলহাজ মকছেদ আলী, বিদ্রোহী মাছুদুর রহমান মন্টু, বিএনপির আলহাজ আতিয়ার রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুজ্জামান লাল ও ইসলামী আন্দোলনের একজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫০ ও ৩টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বি্বতা করছেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৩৭ হাজার ১০৩ জন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌর নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫ জন। ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন কাউন্সিলর প্রার্থী মো. খবির উদ্দিন। অপর ১১টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৫৬ এবং ৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের নায়ার কবির, বিএনপির হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জাতীয় পার্টির মো. আনিছ খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী মাওলানা ইউসুফ ভূঁইয়া। এ পৌরসভায় মোট ভোটার ১ লাখ ৮ হাজার ১৯৯ জন। পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. বশিরুল হক ভূঁইয়া বলেন, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা : নাঙ্গলকোট পৌরসভা নির্বাচন আজ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের লক্ষ্যে সবধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। মেয়র পদে ৫ জন, ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২২, সংরক্ষিত ৩টি আসনের মধ্যে ২টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ায় একটিতে ২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মেয়র প্রার্র্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের আবদুল মালেক (নৌকা), বিএনপির জাহাঙ্গীর আলম মজুমদার (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র আনোয়ার হোসেন (জগ), জাতীয় পার্টির কাজী জামাল (লাঙ্গল) এবং ইসলামী আন্দোলনের হাফেজ ইসমাঈল হোসেন (হাতপাখা)। এ নির্বাচনে ১১টি ভোটকেন্দ্রের মোট ১৭ হাজার ২১৮ জন ভোটার ভোট দেবেন। উপজেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ বলেন, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। থানার ওসি নজরুল ইসলাম পিপিএম জানান, ৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।