বগুড়া: বগুড়ার শেরপুর পৌরশহরের বণিকপাড়া এলাকায় তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছে নান্নু মিয়া (২৮) নামের এক পাখি ব্যবসায়ী।
তিনি একই এলাকার মহর আলীর ছেলে। আর শিশুটিও একই এলাকার। স্থানীয় টাউন কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় ওই স্কুলছাত্রীকে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে দ্রুত বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
কিন্তু এলাকার মাতবরদের চাপে ভুক্তভোগীর পরিবার গুরতর অসুস্থ শিশুটিকে নিয়ে বাড়ি চলে যান। স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি মিমাংসা করে দেবেন বলে শিশুর বাবা-মাকে জানিয়ে দেন মাতবররা। এ কারণে অসুস্থ শিশুটিকে হাসপাতালে না নিয়ে বাড়িতে রাখা হয়েছে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় স্কুলছাত্রীর বাবা ক্ষুদ্র ধানচাল ব্যবসায়ী খোকন মিয়া ও মা মর্জিনা বেগম বাংলানিউজকে জানান, দুপুরের দিকের ঘটনা। তাদের শিশু মেয়ে বাড়ির পাশে রাস্তার খেলছিল। এ ফাঁকে পাখি ব্যবসায়ী নান্নু কৌশলে ফুসলিয়ে মোটরসাইকেলে তুলে শিশু মেয়েকে তার দোকানে নিয়ে যায়।
এক পর্যায়ে দোকানের দরজা বন্ধ করে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় শিশুটি খুব কান্নাকাটি করে। এতে ভয় পেয়ে নান্নু ওই শিশুর হাতে কিছু টাকা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মাকে সবকিছু খুলে বলে এবং ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে তার বাবা বাড়িতে আসলে সন্ধ্যায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে তাড়াতাড়ি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) নেওয়ার পরামর্শ দেন।
তারা অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয়ভাবে মিমাংসার কথা বলে এলাকার মাতবররা আমাদের শিশু মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে মানা করে দিয়েছেন।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ বাংলানিউজকে জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করায় সে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। যে কারণে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে (শজিমেক) নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. এরফান জানান, এ ধরনের খবর জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে ঘটনার পর থেকে নান্নু পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।