কলকাতা প্রতিনিধি | অনেকবার আবেদনের পর উন্নত চিকিৎসার জন্য শিলংয়ের আদালত বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদকে নয়া দিল্লির উপকণ্ঠে মেদান্ত-দ্য মেডিসিটিতে ভর্তির জন্য অনুমতি দেওয়ায় শুক্রবার তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। সালাহউদ্দিন বেশ কিছুদিন ধরেই, হার্ট, কিডনি ও চর্মরোগের সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়াও মেরুদণ্ডের হাড়ে ব্যথা হচ্ছে। অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতের শিলংয়ে আটক হওয়ার পর থেকে তিনি একাধিকবার স্থানীয় নেগ্রিমস হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। কিন্তু তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নেগ্রিস হাসপাতালের একটি মেডিকেল বোর্ড তাকে ভেলোর বা দিল্লির হাসপাতালে ভর্তির সুপারিশ করেছেন। সেই মতোই আদালতের শর্র্তসাপেক্ষে সালাহউদ্দিনকে দিল্লি নিয়ে আসা হয়। গত শুক্রবার সকালে তাকে মেদান্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ নরেশ ত্রেহান ২০০৯ সালে এই আন্তর্জাতিক মানে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটি তৈরি করেন। এই হাসপাতালে ভিভিআইপিরাই চিকিৎসা নেন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন এই হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ সালাহউদ্দিনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষার পর তাকে ভর্তি করে নিয়েছেন। আগামী কয়েকদিন ধরে তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে বলে জানা গেছে। তবে কতদিন চিকিৎসা চলবে তা নির্ভর করছে চিকিৎসকদের অভিমতের উপর। তবে শিলংয়ের আদালতে বিচারকের কাছে অবশ্য নিয়মিত চিকিৎসার সমস্ত তথ্য জানাতে হবে। গত বছরের ১০ই মার্চ ঢাকার উত্তরার একটি বাসা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এর প্রায় দুই মাস পর ১১ই মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ের গলফ লিংক এলাকায় উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরার সময় স্থানীয় লোকজনের ফোন পেয়ে পুলিশ তাঁকে আটক করে। গত বছরের ২৩শে জুলাই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে অনুপ্রবেশের মামলার বিচার শুরু হয়। একপর্যায়ে তাকে জামিন দেয়া হয় শিলং না ছাড়ার শর্তে। এতদিন পর্যন্ত সালাহউদ্দিন শিলংয়ের লাবান এলাকায় সানরাইজ গেস্টহাউসে অবস্থান করছিলেন।