বিএনপির কাউন্সিল নতুন বার্তা দেবেন খালেদা জিয়া

Slider টপ নিউজ রাজনীতি

100549_196

 

বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল বক্তৃতায় নতুন নির্বাচনের দাবি জানানোর পাশাপাশি দলের আগামী দিনের রাজনৈতিক দর্শন নিয়ে ‘নতুন বার্তা’ দেবেন চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন তুলে ধরে তৈরি করা হচ্ছে চেয়ারপারসনের কাউন্সিল বক্তৃতা। এতে চলমান ‘গণতন্ত্রহীনতা’র প্রসঙ্গ যেমন থাকবে তেমনি আহ্বান জানানো হবে সঙ্কট নিরসনে একটি নতুন নির্বাচন দেয়ার।
কাউন্সিলে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের খসড়া তৈরির কাজ করছে মুসাবিদা উপ-কমিটি। বক্তব্যের খসড়া তৈরিতে তারা দফায় দফায় বৈঠক করছেন। সংশ্লিষ্ট অনেকের পরামর্শও নেয়া হয়েছে। কমিটি বক্তব্যের খসড়া তৈরির কাজ শেষ করার পর তা খালেদা জিয়ার কাছে জমা দেবেন। তিনি সিনিয়র নেতাদের সাথে তা নিয়ে তা আলোচনা করবেন। কোথাও ভুলত্রুটি থাকলে তা সংশোধনের পাশাপাশি নতুন কোনো তথ্য সংযোজনও করা হতে পারে। এরপর চূড়ান্তভাবে তার বক্তব্য তৈরি করা হবে।
আগামী ১৯ মার্চ দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী বক্তব্যে আগামী দিনের পরিকল্পনাসহ সাংগঠনিক গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। অতীতের ভুলত্রুটি থেকে শিা নিয়ে ভবিষ্যতে সবাইকে নিয়ে একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখাবেন তিনি। ভবিষ্যতে মতায় গেলে কেউ দুর্নীতি ও অনিয়ম করলে ন্যূনতম ছাড় দেয়া হবে না বলে কঠোর হুঁশিয়ারি দেয়া হবে। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনই দায়ী বলে উল্লেখ করা হবে তার বক্তব্যে। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই তাও বলা হবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে এর বিরুদ্ধে বিশ্বসম্প্রদায়কে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানাবেন খালেদা জিয়া। সংশ্লিøষ্ট নেতাদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে এসব তথ্য।
খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডের গঠনমূলক সমালোচনা করবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুত খসড়ায় উঠেছে সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতির নানা প্রসঙ্গ। গণতন্ত্রহীনতা, হত্যা, খুন, গুম, ব্যাংক, শেয়ারবাজার লুট, বিপুল অঙ্কের টাকা বিদেশে পাচারসহ সরকারের নানা অপকর্ম বক্তৃতায় স্থান পাচ্ছে। বড় বড় প্রকল্পের নামে অর্থ লুটপাট, কুইক রেন্টালের নামে মতাসীন দলের কিছু লোককে লুটপাটের সুযোগ করে দেয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হবে। খালেদা জিয়া তার বক্তব্যে বিগত পৌর, উপজেলা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনের উদাহরণ টেনে জানাবেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে খালেদা জিয়ার বেশ কিছু আহ্বান থাকবে। বিশেষ করে বর্তমান শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে কঠোর-কঠিন সংগ্রামের প্রস্তুতি নিতে বলবেন তিনি।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার ও দলের অবস্থান আবারো তুলে ধরা হবে।
ভবিষ্যতে মতায় গেলে কী করবেন তার একটি বিবরণ তুলে ধরবেন খালেদা জিয়া। আগামীতে মতায় গেলে দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অনাচার কঠোর হাতে দমন করাকেই অগ্রাধিকার দেয়া হবে। মতায় গেলে, দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্রিয়, শক্তিশালী ও কার্যকর করা, জনগণের মৌলিক অধিকার তথা অন্ন, বস্ত্র, শিা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের অধিকার নিশ্চিত করা; আইনের শাসন, সর্বজনীন মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা এবং জনগণের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্র“তি দেবেন তিনি।
ভবিষ্যতে মতায় গেলে দেশীয় বিনিয়োগ, নারী উন্নয়ন, সবার কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্যসেবা, আবাসনের ব্যবস্থা ও শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধিসহ নানা প্রতিশ্র“তি তুলে ধরবেন খালেদা জিয়া।
দলের এক নেতা জানান, বিএনপির আগামী রাজনীতি কেমন হবে, তার একটি স্পষ্ট ইঙ্গিত থাকবে চেয়ারপারসনের বক্তব্যে। তিনি বলেন, বিএনপি পরিবর্তিত আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটকে ধারণ করে শান্তিপূর্ণ উপায়ে আগামী দিনে সামনে এগিয়ে যাবে। বিশেষ করে নতুন একটি নির্বাচন আদায়ে সরকারের ওপর বিএনপির চাপ অব্যাহত থাকবে। এ জন্য নানামুখী তৎপরতা থাকবে। দলটি পরবর্তী নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়াকেই এখন সবচেয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

– See more at: http://www.dailynayadiganta.com/detail/news/100549#sthash.vIruvo57.dpuf

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *