গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারবিরোধী আন্দোলনের সফলতা নিয়ে নেতা-কর্মীদের মন থেকে সব ধরনের সংশয় দূর করার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘অনেকে বলেন বহু আন্দোলন তো করলাম কিন্তু কিছুই তো হলো না। আমি বলছি আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আন্দোলন সফল হবে এবং এ সরকারের পতন ঘটবেই।’ গতকাল বগুড়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘জন্মোৎসব’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহরের একটি হোটেলে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে একটি প্রতিষ্ঠান উল্লেখ করে বলেন, ‘যে নেত্রী রাজপথে সময়ের প্রয়োজনে রাজপথে লড়াই-সংগ্রাম করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছেন তিনি তো কেবল কোন ব্যক্তি হতে পারেন না। বরং তিনি একটি প্রতিষ্ঠান।’ খালেদা জিয়ার ‘জন্মদিন’ পালন নিয়ে আওয়ামী লীগের সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য এত বড় ত্যাগ স্বীকার করতে পারেন তার জন্মদিন পালনে কোন দৈনতা থাকতে পারে না।’ বর্তমানে দেশ গভীর সংকটে নিমজ্জিত দাবি করে তিনি বলেন, ‘দেশ এত গভীর সংকটে অতীতে আর কখনও পড়েছিল কিনা তা আমার জানা নেই। ১৯৭৫ সালে যে একদলীয় শাসন কায়েম করা হয়েছিল তা ছিল প্রকাশ্য। সবাই সেটা জেনেছিল কিন্তু এখন গণতন্ত্রের মোড়কে প্রতারণার মাধ্যমে একদলীয় শাসন চালানো হচ্ছে। সরকার সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে একে একে ধ্বংস করে ফেলেছে। এখন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার জন্য সম্প্রচার নীতিমালা তৈরি করছে। এর মাধ্যমে তারা এখন মানুষের কথা বলার অধিকারটুকুও কেড়ে নিতে চায়।’ তিনি বলেন, এই সংকট মোকাবিলায় বেগম খালেদা জিয়াই একমাত্র কাণ্ডারি। আজ তার জন্মদিনে আমাদেরকে দেশ রক্ষার শপথ নিতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, আপনারা প্রস্তুত হোন। অতীতে আমরা আন্দোলনের মাধ্যমে যেভাবে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছি এবারও সেভাবে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।’ জেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, আবদুল মোমেন তালুকদার খোকা, মোস্তফা আলী মুকুল, বগুড়া পৌরসভার মেয়র এডভোকেট মাহবুবুর রহমান, রেজাউল করিম বাদশা, ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, জানে আলম খোকা ও জেলা বিএনপির সধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চাঁন। পরে মির্জা ফখরুল ইসলাম নেতা-কর্মীদের নিয়ে খালেদা জিয়ার ‘জন্মদিনের’ বিশাল কেক কাটেন।