রাতুল মন্ডল, শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি:
রাতের আধারে যুবসমাজ ধংসের মূল কারণ হয়ে দাড়িয়ে ছিল। হাউজি জোয়া আর অশ্লিল নৃত্যে মেতে থাকতো যুব সমাজ। প্রতি দিনিই ঘটতো ছিনতাই, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকা- গড়ে উঠছিল স¤্রতি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার পৌরসভার ২নং বিএন্ডবি বাজারে দীর্ঘ ৮ মাস আগে গড়ে উঠে এই সব অপরাধ মূলক কর্মকা-ের মেলা। স্থানীয় প্রভাবশালী সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের পরিচলনায় গড়ে উঠেছিল। মেলার বিরুদ্ধে পৌর পিতা মো. আনিছুর রহমানের নেত্রীত্বে মাওনা চৌরাস্তায় প্রায় দুই কি.মি রাস্তা জুরে মানবন্ধন করেন স্থানীয় সচেতন নাগরিক ফোরাম। এর পরও বন্ধ হয়নি। এর কয়েক দিন পর পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র বহুজনবসতি এলাকায় কেওয়া বাজারে গড়ে উঠে জোয়ার আরেকটি মেলা। তাতেও স্থানীয় প্রশাসনের টনক নড়েনি। এর পর যেন জোয়া নগরীতে রুপ নিচ্ছে শ্রীপুর। গাজীপুর ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে একই জোয়ার হাউজির মেলা বসায় স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সহযোগিতায় গফরগাঁওয়ের জোয়া ব্যবসায়ী জয়নাল উরফে জয়নাল পুলিশ, জোয়ারি রফিক এবং জমিদাতা জোয়ারি আলাউদ্দিন তাদের নেত্রীত্বে গড়ে উঠে এই মেলা। মেলা বন্ধে অনেক জাতীয় দৈনিকে মেলার বিরুদ্ধে সুচ্ছার হলে টনক নড়ে স্থানীয় প্রশাসন ও জেলা প্রসাশকের। তার ধারাবাহিকাতয় গতকাল ৮মার্চ মঙ্গলবার সকাল থেকেই জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও স্থানীয় উপজেলা প্রসাসনের কর্তাব্যক্তিদের যৌথ অভিযানে দুপুরের মধ্যে তিনটি স্পটে মেলার প্যান্ডেল বেঙে সরঞ্জামাধী জব্দ করে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউনো) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জেলা প্রশসকের নির্দেশে জোয়া হাউজির পটে মোবাইল কোর্ট অভিযান চালানো হয়। যুবসমাজ ধংস করছে এমন কিছু শ্রীপুরে গড়ে উঠতে দিবে না উপজেলা প্রশাসন। তাই সকাল থেকেই মেলার বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে প্যান্ডেলসহ মেলার যাবতীয় সরঞ্জাম আমরা জব্দ করেছি।
জেলার প্রাশসকের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ্ আল মামুন জানান, সকল সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। যারা সমাজের এই ধরণের অপরাধ সংগঠিত করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযানে আরো ছিলেন, উপজেলা সহকারি ভূমি অফিসার মো.মাসুজ রেজা।