গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা পল্লী বিদ্যুৎ এলাকার একটি পোশাক কারখানা থেকে আজ সোমবার রাতে এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কারখানার ৫ কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। স্বজনদের দাবি ওই শ্রমিককে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত শ্রমিকের নাম দীপক সাহা (২৭)। কালিয়াকৈর উপজেলার বোর্ড মিল সাহেবপাড়া এলাকার দেবব্রত সাহার ছেলে দীপক ওই কারখানাটির ফিনিশিং শাখায় চাকরি করতেন।
দীপকের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীপক গত শনিবার রাতের পালায় কারখানায় কাজ করতে যান। কিন্তু পরদিন সকালে তিনি বাড়ি ফেরেননি। স্বজনেরা কারখানায় ও স্বজনদের বাড়িতে খোঁজ নেয়। না পেয়ে আজ সোমবার সকালে দীপকের বাবা দেবব্রত সাহা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। আজ দুপুরের পর থেকে ওই কারখানার শ্রমিকেরা কারখানার ভেতরে দুর্গন্ধ পান। এ সময়ে মৃত মানুষের গন্ধ ছড়াচ্ছে এমন খবরটি পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। পরে কর্তৃপক্ষ আজকের জন্য কারখানা ছুটি ঘোষণা করে ও পুলিশে খবর দেয়। কারখানার আশপাশে ব্যাপকসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। সন্ধ্যার পর সাড়ে সাতটার দিকে কালিয়াকৈর থানা-পুলিশ কারখানার নতুন ভবনের নির্মাণাধীন লিফটের নিচে জমে থাকা পানি থেকে দীপক সাহার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ কারখানার ডিজিএম রফিকুল ইসলামসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
দীপকের বাবা দেবব্রত সাহা অভিযোগ করেন, তাঁর ছেলেকে ওই কারখানারই কেউ হত্যা করেছে। সকাল থেকে কারখানায় যোগাযোগ করা হলেও তাঁরা কোনো সহযোগিতা করেনি। লাশ গোপন করে রেখেছিল।
এ ব্যাপারে কথা বলতে কারখানা পরিচালক মো. ইলিয়াস হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদকর্মী পরিচয় পেয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এরপর কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মোতালেব মিয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই শ্রমিককে হত্যা করে ওই স্থানে ফেলে রাখা হয়েছে। তবে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কারখানার পাঁচজন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। দীপকের লাশ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।