মাশরাফি বিন মর্তুজা যতই আবেগ চাপা দেয়ার চেষ্টা করেন না কেন তাতে খুব একটা কাজ যে হচ্ছে না তা অনেকটাই পরিষ্কার। বাংলাদেশ-ভারত মেগা ফাইনালের উত্তেজনায় রীতিমত কাঁপছে বাংলাদেশ।
দমবন্ধ টেনশন। কোথায় নেই উত্তেজনা। বাংলাদেশ দলের প্রতি ভালোবাসায় ফেসবুক রাঙ্গিয়েছেন অনেকে। ক্রিকেট ছাড়া আর কোন বিষয়ে আজ কোন স্ট্যাটাস পাওয়া গেলো না। এমনিতে আবেগি হিসেবে সারা দুনিয়াতেই খ্যাতিমান বাঙালিরা। তারা অল্পতে হাসেন। সামান্যতেই কাঁদেন। আজ তাদের সামনে কি অপেক্ষা করছে কে জানে?
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে আজ সবচেয়ে বড় ম্যাচ কি-না সেটি নিয়ে তর্ক হতে পারে। এমনকি মাশরাফিও এ ম্যাচকে তার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় ম্যাচ মানতে রাজি নন। তবে বাংলাদেশে কোন ক্রিকেট ম্যাচ অতীতে এমন আবেগ ছড়িয়েছে বলে মনে হয় না। যুদ্ধ নেই। তবুও কোথায় যেন যুদ্ধের আবহ। গেলো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে যে রং লাগিয়েছে চাইলেই যেন তা মুছা যায় না।
ক্রিকেট শেষ পর্যন্ত দলীয় খেলাই। তবুও প্রতিটি দলেই কিছু কিছু খেলোয়াড় থাকেন যারা নিজেদের অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখেন। ডন ব্র্যাডম্যানের জমানার আর কোন খেলোয়াড়ের নাম আমরা অতোটা জানি। ব্রায়ান লারা আর শচীন টেন্ডুলকারের কথাই ধরা যাক না। যুগের অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে তারা নিজেদের আলাদা করেছেন।
ক্রিকেট শেষ পর্যন্ত দলীয় খেলাই। তবুও প্রতিটি দলেই কিছু কিছু খেলোয়াড় থাকেন যারা নিজেদের অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখেন। ডন ব্র্যাডম্যানের জমানার আর কোন খেলোয়াড়ের নাম আমরা অতোটা জানি। ব্রায়ান লারা আর শচীন টেন্ডুলকারের কথাই ধরা যাক না। যুগের অন্য খেলোয়াড়দের চেয়ে তারা নিজেদের আলাদা করেছেন।
বড় ম্যাচের ক্ষেত্রেও তা সত্য। একেক জন ক্রিকেটার একেকটি টুর্নামেন্টের ফাইনালে আলো ছড়ান। ইতিহাসে নিজের নাম লেখান। ৯২’ বিশ্বকাপের ফাইনালের ওয়াসিম আকরামকে কেউই ভুলতে পারবেন না।
তো, আজকের ফাইনালের নায়ক হচ্ছেন কে? ব্যাট হাতে অথবা বল হাতে কে আজ নির্ধারণ করে দিবেন ফাইনালের ভাগ্য। অনেকের নামই আলোচিত হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত সাকিব আল হাসান অথবা বিরাট কোহেলিই হয়ে যেতে পারেন এ ম্যাচের নিয়ামক খেলোয়াড়। এমনিতে সাকিব খুব ভালো ফর্মে নেই। তবে তার মতো বড় খেলোয়াড়ের জন্য আজকের ফাইনালই সবচেয়ে বড় উপলক্ষ হতে পারে। অন্যদিকে, বিরাট কোহেলি রয়েছেন তার ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। এ যুগের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানও বিবেচনা করা হয় তাকে। তারও বিরাট সুযোগ থাকবে আর। তার বাইরে রোহিত শর্মা, রায়না, ধোনি, নেহরা, আশ্বিন যে কেউ হয়ে যেতে পারেন নায়ক। বাংলাদেশ টিমেও এমন খেলোয়াড় রয়েছেন প্রচুর। তামিম, সৌম্য, মুশফিক, তাসকিন যে কেউ ছারখার করে দিতে পারেন ভারতকে।