ঢাকা : এশিয়া কাপের ফাইনাল ম্যাচের টিকিট নিয়ে টিকিট প্রত্যাশী ও পুলিশের মধ্যে কয়েকদফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে মিরপুর স্টোডিয়ামের পাশে প্রধান সড়কে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এ ঘটনায় এ পর্যন্ত আটজনকে আটক করা হয়েছে। তবে আটকের কথা অস্বীকার করেছে পুলিশ।
মিরপুর জোনের সহকারি কমিশনার (এসি) মাহবুব হোসেন, ‘ফাইনাল ম্যাচের টিকিট না পেয়ে হতাশ দর্শকরা ব্যাংকে ইটপাটকেল ছোঁড়েন। এতে পুলিশ প্রথমে শান্ত করার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয়ে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে।’
মিরপুরে টিকিট কিনতে রাজধানী ছাড়াও নারায়াণগঞ্জ, নরসিংদী ও মানিকগঞ্জ থেকে অনেককে টিকিট কিনতে এসেছেন। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউক্যাশের মাধ্যমে টিকিট কিনতে না পারায় তারা এখানে এসে দাঁড়িয়েছেন। ফাইনাল ম্যাচের টিকিট শনিবার সকাল থেকে বিক্রি শুরু হলেও লাইন শুরু হয়েছে শুক্রবার সকাল থেকেই। আর রাত হতে হতেই লাইন বিস্তৃত হয়ে মিরপুর প্রধান সড়কের অনেকটা অংশ দখল করে ফেলে। এতে মিরপুর-১০ গোলচত্বর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
লাইনে থাকা বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, সেখানে লাইনে থাকা মানুষদের ধীরে টিকিট দেয়া হলেও অনেকেই প্রভাব খাটিয়ে পরিচিত ব্যাংকারদের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহ করছে। এমন খবরে শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। বিশৃঙ্খলা রুখতে বেশ কয়েকবার টিকিট প্রত্যাশী ও পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া শুক্রবার রাত ২টার মূল সড়কে লাইনের শেষ মাথায় হুড়োহুড়ির সময় হঠাৎ লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে ডান হাত ভেঙে যায় মিরপুর এভিনিউ ফাইভ এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে শাকিলের। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৬ মার্চ ঢাকার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রায় ২৫ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতা আছে। কিন্তু টিকিটের চাহিদা লাখেরও বেশি। আরব আমিরাত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানকে হারিয়ে এবারের এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ। সোমবার ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবেন মাশরাফিরা।