সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে জান্নাতুল ফেরদৌস (১৮) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) রাতে জান্নাতুল ফেরদৌসকে হত্যার পর মৃতদেহ শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বারান্দায় রেখে পালিয়ে যায় স্বামী রফিকুল ইসলামসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
জান্নাতুল ফেরদৌস শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ও কালিগঞ্জ উপজেলার মৌতলা ইউনিয়নের শেখপাড়ার রফিক শেখের মেয়ে।
নিহত জান্নাতুলের ভাই নাজমুল হাসান বলেন, যৌতুকের দাবিতে তিনদিন অভুক্ত রেখে আমার বোনকে ওরা পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। বোনের শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। অথচ গলায় কোন ফাঁসের দাগ না থাকলেও জান্নাতুল আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালিয়ে পালিয়ে গেছে ওর স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন।
তিনি আরো বলেন, মাত্র দেড় মাস আগে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে জান্নাতুলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাদের কোনো দাবি-দাওয়া না থাকলেও সম্প্রতি রফিকুল ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা নিয়ে আসার জন্য রফিকুলসহ তার মা ও বোন জান্নাতুলের ওপর বেশ কিছুদিন ধরে নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
বৃহস্পতিবার রাতে রফিকুলের এক মামাতো ভাই ফোন দিয়ে আমাদের হাসপাতালে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে আমরা জান্নাতুলকে মৃত দেখতে পায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায় জান্নাতুলকে তার স্বামী ফেলে রেখে চলে গেছে। হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল বলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়।
কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মীর মনির হোসেন জানান, নিহতের শরীরে নির্যাতনের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।
এ ঘটনায় নিহতের নানা নুর মোহাম্মদ বাদী হয়ে শ্যামনগর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে বলেও জানান ওসি।