শ্রীপুর (গাজীপুর): গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বেতজুরি খাল থেকে শাহীন (৮) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পাপ্পু (১৭) নামে এক কিশোরকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত শাহীন স্থানীয় বেতজুরী এলাকার সুলতান উদ্দিন মেমোরিয়াল একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
শাহীনের বাবা এমদাদুল হক দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জয়দেবপুর এলাকার বাসিন্দা। তিনি শ্রীপুরের মাস্টারবাড়ি এলাকার মেজর মার্কেটের আলিফ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে এবং তার স্ত্রী স্থানীয় অস্ট্রেলিয়া গার্মেন্টস কারখানায় চাকরি করেন। তারা বেতজুড়ি গ্রামের আক্তার হোসেনের বাড়ির ভাড়াটে।
আটক পাপ্পু দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার চাঙ্গিরামপুর এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, বুধবার বিকেলে পাপ্পু চকলেট দেয়ার কথা বলে শাহীনকে তাদের বাসায় নিয়ে যায়। পরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে বেতজুরি খালের পাড়ে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে পানিতে ফেলে দেয়।
রাতে বিভিন্ন স্থানে শাহীনের খোঁজ নিতে গিয়ে তার বাবা জানতে পারেন বুধবার বিকেলে পাপ্পুর সঙ্গে তার ছেলেকে যেতে দেখেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার সকালে পাপ্পুকে আটক করার পর তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী খাল থেকে শাহীনের ভাসমান লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি আরো জানান, পাপ্পু এবং শাহীনের বাবা এমদাদ একই ওয়ার্কশপে কাজ করতো। পরে সেখান থেকে পাপ্পু অন্য কারখানায় চাকরি নিয়ে চলে যায়। কিন্তু চলে যাওয়ার সময় ওয়ার্কশপের মালিকের দেয়া দুই মাসের বেতনের টাকা এমদাদ তাকে না দেয়ায় তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এর জেরেই শাহীনকে হত্যা করেছে পাপ্পু।