৬ বল আর পাঁচ উইকেট হাতে রেখেই ফাইনালে চলে গেল বাংলাদেশ। ২০তম ওভারের প্রথম বলে আনোয়ার আলীকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন মাহমুদুল্লাহ। ১৮ ওভার শেষে সংগ্রহ ছিল ১১২/৫। ১৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৯৫/৪। মুশফিক আউট হন ১৫ বলে ১২ রান করে। তিন উইকেট পড়ার পর থেকেই রানের গতি কমে এসেছে। এরর আগে দারুণ খেলতে থাকা সৌম্য সরকারের ফিফটি পুরো করতে পারেন নি। ৪৮ বলে ৪৮ রান করে মোহম্মদ আমিরে বলে বোল্ড হন তিনি। তবে দল আছে জয়ের পথেই। মুশফিকের সঙ্গে যোগ দিযেছেন সাকিব আল হাসান। ১৩.৩ ওভারে বাংরাদেশের সংগ্রহ ৮৩/৩। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৬৫ রান। আগের ম্যাচের নায়ক সাব্বির ১৫ বলে ১৪ রান করে আউট হন। তবে সৌম্য তার ফর্ম ফিরে পেয়েছেন। ৩৭ বলে তার স্কোর ৩৯ রান। তিনি দশম ওভারে আনোয়ার আলীর বলে ছক্কা হাঁকান। ব্যক্তিগত ৭ রানে উইকেট দিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। তিন ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২২/১। এর আগে পাকিস্তানকে ১২৭/৬ স্কোরে থামালো টাইগাররা। সরফরাজ আহমেদ করেন ৪২ বলে ৫৮ রান। এর আগে বাংলাদেশের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পাক ব্যাটিং জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি। ব্যক্তিগত ৪১ রানে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিলেন শোয়েব মালিক। পঞ্চম উইকেটে শোয়েব ও সরফরাজ আহমেদ গড়েন ৭০ রানের জুটি। এর আগে দলকে চতুর্থ সাফল্য এনে দেন তাসকিন আহমেদ। ব্যক্তিগত ৪ রানে উমর আকমলকে সাজঘরে ফেরান এ টাইগার পেসার। বল হাতে শুরটাও ছিল তার দারুণ। নিজের প্রথম ওভারে ১ রান দেন তাসকিন। আর দ্বিতীয় ওভারে তাসকিন তুলে নেন মেডেন। এতে তিন ওভারের স্পেলে তাসকিনের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১/২। ইনিংসের ৯ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯/৪ । দলকে তৃতীয় সাফল্য এনে দেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। পাকিস্তানের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ হাফিজকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেললেন বাংলাদেশের এই নড়াইল এক্সপ্রেস। বল হাতে দ্বিতীয় আঘাত হানেন আরাফাত সানি। ৩.৫তম ওভারে পাক ওপেনার শারজিল খানের উইকেট উপড়ে নেন বাংলাদেশের এ বাঁ-হাতি স্পিনার। দলীয় ১ রানে প্রথম উইকেট খোয়ায় পাকিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে পাক ওপেনার খুররম মনজুরকে সাজঘরের পথ দেখান টাইগার পেসার আল আমিন হোসেন। আসরে আল আমিনের এটি অষ্টম শিকার। বাছাইপর্বের খেলা বাদ দিলে এটি আসরে কোনো বোলারের সর্বাধিক শিকার। এর আগে টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন পাকিস্তান অধিনায়ক শহীদ আাফ্রিদি। মিরপুরের শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুটি পরিবর্তন বাংলাদেশ দলে । একাদশে ফেরেন তামিম ইকবাল। বাদ পড়েছেন নুরুল হাসান সোহান। আর মুস্তাফিজের পরিবর্তে দলে নেয়া হয়েছে স্পিনার আরাফাত সানিকে। অপরদিকে পাকিস্তান দলে মোহাম্মদ নওয়াজের পরিবর্তে ফিরেছেন আনওয়ার আলী। এ ম্যাচে জিতলেই ফাইনালে খেলা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। আসরে শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে জয় দেখেছে টাইগাররা।