শ্রীপুর, গাজীপুর প্রতিনিধি ঃ
শ্রীপুর উপজেলার নয়নপুর মোল্লাপাড়া ও পৌর সভাধীন কেওয়া বাজারে প্রশাসনের নাকের ডগায় ইতিমধ্যে মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর জমজমাট হয়ে উঠেছে, দেখার যেন কেউ নেই। স্থানীয় প্রশাসনের রহস্য জনক নিরবতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রকাশ্যে প্রতিদিন শুভ মুক্তি র্যাফেল ড্র এর নামে লক্ষ লক্ষ টাকার অবৈধ টিকিট বিক্রি হচ্ছে ।
উল্লেখ্য, গাজীপুর ৩ সংসদীয় আসনের মাননীয় সাংসদ এ্যাড.মোঃ রহমত আলী মদ ও জুয়ার বিরুদ্ধে সর্বদায় সৌচ্চার ছিলেন, এ বিষয়ে সংসদে বিলও এনেছিলেন, কিন্তুু বর্তমানে তার এলাকায় কি করে মদ ও জুয়ার আসর বসে তা বোধগম্য নয়। এক দিকে যুব সমাজ ধ্বংশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, অপর দিকে এলাকায় অ-সামাজিক কার্যকলাপও ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। লোভনীয় পুরস্কারের আশায় টিকিট কিনে সর্ব শান্ত হচ্ছে গার্মেন্টস্ শ্রমিক সহ রিক্সা ও ভ্যান চালকরা। অবৈধ লটারির টিকিট বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। দিন দিন আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটছে। ইতে মধ্যে মাওনা চৌরাস্তা ও জৈনা বাজার এলাকার শান্তি প্রিয় জনগন মেলার নামে জুয়ার বিরুদ্ধে মানব বন্ধন করেন, তার পরও প্রশাসনের টনক নড়েনি। এতে করে সরকারী দলের কতিপয় নেতা-কর্মির পকেট ভারি হচ্ছে । উপর দিকে সনাম ধন্য সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের ভাব মুর্তি যতেষ্ঠ ক্ষুন্ন হচ্ছে। একটি নির্ভর যোগ্য সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকারী দলের প্রভাবশীল মহলের ছত্র ছায়ায় মেলার নামে এগুলো চলছে । প্রশাসনের এ ব্যাপারে রহস্য জনক নিরবতা এলাকার আলেম সমাজ, সচেতন ও শান্তি প্রিয় ধর্ম প্রাণ মানুষকে ভাবিয়ে তুলছে। মাইকের বিকট আওয়াজে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠছে। স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের লেখা পড়ার বিঘিœত হচ্ছে। শ্রীপুর মডেল থানার (ওসি) মোঃ আসাদুজ্জামানকে এই পত্রিকার প্রতিবেদক মোঠো ফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং ফোন কল কেটে দেন। তাই মেলার নামে অশ্লীল নৃত্য ও জুয়ার আসর বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী ও মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।