পাঞ্জাবের উদারপন্থি গভর্নর সালমান তাসিরকে গুলি করে হত্যাকারী মুমতাজ কাদরির ফাঁসি কার্যকর করেছে পাকিস্তান। এ ঘটনায় গ্যারিসন শহর রাওয়ালপিন্ডিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু সড়ক। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, মুমতাজ কাদরি পুলিশের সাবেক একজন সদস্য। তিনি সালমান তাসিরের একজন দেহরক্ষী ছিলেন। ২০১১ সালে রাজধানী ইসলামাবাদে একটি বাজারের কাছে তাকে ২৮ বার গুলি করে হত্যা করেন কাদরি। তিনি সালমান তাসিরকে হত্যার দায় স্বীকারও করেন। বলেন, ব্লাসফেমি আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নেয়ার কারণে তাতে তিনি হত্যা করেছেন। আজ সোমবার দিনের প্রথম প্রহরে কাদরির ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। উল্লেখ্য, সালমান কাদরি সেদেশের ব্লাসফেমি আইন সংস্কারের চেষ্টা করছিলেন। এ জন্য তাকে উদার হিসেবে দেখে থাকেন সবাই। তিনি এ উদ্যোগ নেয়ায় কাদরির গুলিতে প্রাণ হারান। কট্টরপন্থিদের কাছে কাদরি ছিলেন একজন বীর। যদি তাকে ফাঁসি দেয়া হয় তাহলে তারা সহিংসতার হুমকি দিয়েছিল। সকালের দিকে কয়েক শত মানুষ সমবেত হয় তার বাড়িতে। ফলে রাওয়ালপিন্ডির নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রাওয়ালপিন্ডির সিনিয়র এক পুলিশ কর্মকর্তা সাজিদ গোন্ডাল বলেন, সোমবার খুব ভোরে আদিয়ালা জেলে ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে কাদরির। তার মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তা নিয়ে বাড়িতে সমর্থকদের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। তবে নিরাপত্তার যাতে কোন ঘাটতি না হয় সে জন্য আগে থেকেই সেখানে মোতায়েন করা হয় রেঞ্জারস, দাঙ্গা পুলিশ, এম্বুলেন্স, কয়েক ডজন পুলিশি যান। সশস্ত্র রেঞ্জারসদের দেখা যায় কাদরির বাড়ির ছাড়ে অবস্থান নিতে। আশপাশের অনেক সড়ক বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। মেগা সিটি করাচিতে অনেক পেট্রোল স্টেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। ভাইকে এভাবে হারিয়ে কোন অনুপাত নেই কাদরির ভাই মালিক আবিদের। পরিবারের সদস্যদেরকে রোববার সন্ধ্যায় কাদরির সঙ্গে শেষ সাক্ষাতের জন্য ডেকে নেয়া হয় জেলে। তারা জেলে পৌঁছলে কান্নায় ভেঙে পড়েন কাদরি ও পরিবারের সবাই। মালিক আবিদ বলেন, ভাই আমাকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকেন এবং বলেন আল্লাহ মহান।