ঢাকা : ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এজন্য অন্তত ১০০ শিল্পাঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে সরকারি-বেসরকারি ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান। ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ৪টি সরকারি আর ৬টি বেসরকারি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ আমরা ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। কিন্তু আমাদের পুরো দেশে এমন অঞ্চল গড়ে তুলতে হবে। দেশে আমরা ১০০টি শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলবো। আর এ কাজে বেসরকারি উদ্যোক্তারা এগিয়ে না এলে দেশের অর্থনীতি গতিশীল হবে না।’
এক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ, জিটুজি, পিপিপি উদ্যোগ বা প্রয়োজনীয় যেকোনো উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদেরকে বিভিন্ন এলাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। তবে তা হবে পরিকল্পিত। যেন আমাদের নদী-পরিবেশ দূষিত না হয়। ঘনবসতি বারবার উঠিয়ে দিতে না হয়, সেদিকেও লক্ষ রাখতে হবে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একসময় সরকারি বিটিভি ছাড়া বেসরকারি খাতে কোনো টেলিভিশন ছিল না। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চালানোর সুযোগ দেয়। একটামাত্র সরকারি ফোন ছিল, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বেসরকারি খাতে মোবাইল সেবার দরজা খুলে দেয়।’
দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু যে সরকারি, বেসরকারি ও কো-অপারেটিভ উদ্যোগের কথা বলেছিলেন, সরকার সে পথ অনুসরণ করেই এগোচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) বাস্তবায়নে গড়ে ওঠা এ ১০টি অঞ্চলের মধ্যে চারটি সরকারি ও ছয়টি বেসরকারি। সরকারিগুলো হলো চট্টগ্রামের মিরসরাই, মৌলভীবাজারের শ্রীহট্ট ও বাগেরহাটের মংলা এবং কক্সবাজারের সাবরাং পর্যটন অঞ্চল।
বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে ওঠা ছয়টি হলো, নরসিংদীর পলাশে ‘এ কে খান অর্থনৈতিক অঞ্চল’, মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ‘আবদুল মোনেম অর্থনৈতিক অঞ্চল’, নারায়ণগঞ্জের ‘মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল অর্থনৈতিক অঞ্চল’ ও ‘মেঘনা অর্থনৈতিক অঞ্চল’, গাজীপুরে ‘বে অর্থনৈতিক অঞ্চল’ এবং নারায়ণগঞ্জে ‘আমান অর্থনৈতিক অঞ্চল’।