গতকাল ঢাকার তিনটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছি। ছবির প্রথম শো শেষ হওয়ার পর অনেকের ফোন পেয়েছি। যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। ছবিটি নিয়ে যতটুকু আশা করেছি, তার চেয়ে বেশি পেয়েছি। হুমায়ূন আহমেদের ‘কৃষ্ণপক্ষ’ উপন্যাস সবার পছন্দের একটি গল্প, যা এরই মধ্যে পাঠকদের হৃদয় জয় করেছে। সিনেমার পর্দায় তা দেখতে অনেক দর্শকই হলে গেছেন। প্রথম দিনেই ছিল মানুষের উপচেপড়া ভিড়। আগামীতে ছবির দর্শক কয়েক গুণ বাড়বে বলে আমার বিশ্বাস।
হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে চাপ অনুভব করেন?
হুমায়ূন আহমেদের গল্প নিয়ে কাজের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে চিত্রনাট্য। তার চিত্রনাট্য নিয়ে আজ পর্যন্ত যে যে কাজ করেছেন, তা আমার কাছে মোটেও ভালো লাগেনি। নিজের চিত্রনাট্য নিয়ে একমাত্র তিনিই ভালো কাজ করেছেন। তার গল্প-উপন্যাসের প্রতিটি বিষয় সবার কাছে এত পরিচিত, সেখানে কারও কোনো গিমিগ করার সুযোগ থাকে না। অন্যের সৃজনশীলতা দেখানোর কোনো সুযোগ তিনি রাখেননি। ‘কৃষ্ণপক্ষ’র ক্ষেত্রে ওটা আমার কাছে খুবই কষ্ট লেগেছে। কারণ তিনি ‘কৃষ্ণপক্ষ’র চিত্রনাট্য করে যাননি।
চ্যানেল আইতে আজ আপনার অভিনীত ‘চন্দ্রকথা’ চলচ্চিত্রটি দেখানো হবে। এই চলচ্চিত্রের কথা মনে পড়ে?
কেন মনে পড়বে না? হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনায় ২০০২ সালের শেষদিকে এই ছবির কাজ করেছিলাম। এতে আমার সহশিল্পী ছিলেন আসাদুজ্জামান নূর, ফেরদৌস ও আহমেদ রুবেল। ছবিটি নিয়ে সেই সময় দর্শকদের ব্যাপক আগ্রহ ছিল।