ঢাকা : গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও মানুষের ভোটাধিকার ফেরাতে বুলেট উপেক্ষা করে নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, সেমিনার ও সভা-সমাবেশ করে কোনো লাভ হবে না। সরকারকে বিদায় করার একমাত্র পথ ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রত্যাগত প্রবাসী দল আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মাহবুব বলেন, ‘আমরা যদি একবার সাহস করে রাস্তায় নামি তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে লাখো মানুষের ঢল নামবে। এতে সরকার বিদায় নিতে বাধ্য হবে।’
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রমূলক মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান খন্দকার মাহবুব। তবে তিনি বলেন ‘একজন আইনজীবী হিসেবে আমি এসব মামলা প্রত্যাহার চাই না, বিচারের মুখোমুখী হতে চাই।’
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কেন এসব মামলা হয়েছে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এক-এগারোর সময় থেকে এসব মামলা দেয়া শুরু হয়, আওয়ামী সরকারের সময়েও মামলা হয়েছে। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তারা ভুল করেছে। মামলা দিয়ে তাকে নাস্তানুবাদ করা যাবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার মামলা-হামলা করে বিএনপিকে ধ্বংস করে দিতে চায়। সারা দেশে আমাদের ৫০ লক্ষ রাজনৈতিক নেতাকর্মী সরকারের জুলুমের মধ্যে রয়েছেন। মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন, তারা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না।’
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে ইউপি নির্বাচন সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক সিদ্ধান্ত। স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সরকার বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দিতে চায়। তারা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায়, নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে। আর সে নির্বাচনে একতরফাভাবে নৌকার জয়-জয়কার হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার মনে করেছে, বিশ্ববাসী নির্বাচনের কারচুপির খবর জানতে পারবে না। কিন্তু দেশ ও বিশ্ববাসীকে ধোঁকা দেয়া সম্ভব নয়।’
সরকারের সমালোচনা করে বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বলেন, ‘সরকার পুলিশ ও প্রশাসনের সহায়তায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম-খুন করে এবং মামলা দিয়ে জেলে রেখে যৌক্তিক আন্দোলনকে দাবিয়ে রাখতে চায়।’
জাতীয়তাবাদী প্রত্যাগত প্রবাসী দলের সভাপতি এস এম সোহরাব হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।