গ্রাম বাংলা ডেস্ক: বাতাস কি উল্টা দিকে বইছে? পুরুষ বন্ধু চাহিদামতো জিনিস ও টাকা না দেয়ায়, তার ছবি বিকৃত করে ফেসবুকে পোস্ট করেছে এক তরুণী। শুধু তাই নয়, ছেলেটির ছবি দিয়ে ‘ফেক প্রোফাইল’ তৈরি করে লিখে দিল ‘আই অ্যাম গে। আই অ্যাম ইন্টারেস্টেড ইন ম্যান।’
ঘটনাটি ভারতের লক্ষ্নৌ নগরীতে।
অভিযোগকারী দেবেশ শর্মা এক তরুণ উদ্যোক্তা। দেবেশ প্রথমে বিষয়টি সাইবার সেলে জানিয়েছিলেন। সেখানকার কর্মীরা বিষয়টি হেসে উড়িয়ে দেন। তারা বলেন, মেয়ের নাম দিয়ে হয়তো কোনো ছেলেই এই কাণ্ড করেছে।
এরপর স্থানীয় থানায় অভিযোগ জানান দেবেশ। সবটা শুনে পুলিশ হকচকিয়ে গেলেও তারা খোঁজখবর নেয়া শুরু করে। তখনই জানা যায় কাজটি করেছে মানকনগরের এক তরুণী।
ঘটনার সূত্রপাত কয়েক মাস আগে। ফেসবুকেই ওই তরুণীর সঙ্গে আলাপ হয় দেবেশ শর্মার। ওই তরুণী তাকে অনুরোধ করে তার ২৩ বছরের বড়বোনকে চাকরির বন্দোবস্ত করে দেয়ার জন্য। দেবেশ রাজিও হন। ফেসবুকের সূত্র ধরে ফোন নম্বর দেয়া-নেয়া হয়। তরুণী দেবেশকে জানায়, সে স্কুলের পাঠ শেষ করে উত্তরপ্রদেশে এসেছে। লèৌ শহর ঘুরে দেখার তার ইচেছ। প্রথম প্রথম বিষয়টা ঠিকই ছিল। ৩ আগস্ট ফ্রেণ্ডশিপ ডে তে ওই তরুণীকে একটি পার্টিতেও নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল দেবেশের। কিন্তু ওই দিন সকালেই মেয়েটি দেবেশের কাছে সাড়ে চার হাজার টাকার ব্যাগ ও ৯ হাজার টাকার মিনি স্কার্ট কিনে দেয়ার বায়না জোরে। তখনই ‘ডেটিং’ বাতিল করে দেন দেবেশ।
৪ আগস্ট মেয়েটি দেবেশকে ১০০ বার ফোন ও ৫০ টি মেসেজ পাঠায় বলে অভিযোগ। হুমকি দিয়ে তাকে লেখা হয়েছিল, এর ফল ভালো হবে না। দেবেশ জানান, ‘আমি ওকে উপেক্ষা করতে শুরু করি। তারপর একদিন দেখি আমার নামে ফেসবুকে একটি প্রোফাইল। তাতে আমার সুপার ইমপোজ করা নগ্ন, অশালীন ছবি।’ এরপর ফোন করে দেবেশের কাছে চ লাখ টাকা দাবি করে ওই তরুণী৷ টাকা দিতে রাজি না হওয়ায়, ব্যাংক অ্যাকাউণ্ট নম্বর দিয়ে ২০ হাজার টাকা জমা করতে বলে ওই তরুণী। দেবেশ জানান, ‘আমি ওই অ্যাকাউণ্ট নম্বরটা পুলিশকে দিই।’
পুলিশ হস্তক্ষেপ করার পর অবশ্য বিপদ বুঝে মেয়েটি ফোনে ক্ষমা চায়। পুলিশ জানিয়েছে, দেবেশ শর্মা এফআইআর করেননি। তিনি লিখিত অভিযোগ করলে মেয়েটির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেবেশ জানান, তিনি যেভাবে মেয়েটির কবলে পড়েছিলেন, অন্য কেউ যাতে প্রতারিত না হয়, সে কারণে তিনি আইনের পথেই হাঁটবেন।
সূত্র : ওয়েবসাইট।