নারায়ণগঞ্জ : আবারও পরকীয়ার জেরেই স্ত্রী ও শাশুড়িকে রান্নার কাজে ব্যবহার করা বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন ঘাতক জামাতা। এছাড়াও দু’জনের মৃত্যু নিশ্চিত করতে পরবর্তীতে গলা কাটা হয় বলেও জানান ঘাতক।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর এলাকার খায়রুল বাশারের ভাড়া বাড়ি থেকে রক্তাক্ত মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন- ঘাতক কাউসারের স্ত্রী লাভলী আক্তার (২৫) ও অপরজন তার শাশুড়ী রাশিদা বেগম (৪০)।
এসময় ঘটনাস্থল থেকে জামাতা কাউসারকে (৩০) আটক ও তার কাছ থেকে রক্তমাখা ধারালো একটি বটিও উদ্ধার করে স্থানীয়রা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসায় কাউসার পুলিশকে জানান, স্ত্রী লাভলী আক্তার পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েছিলেন। আর এর প্রতিবাদ করায় তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। প্রথমে জেদ করে স্ত্রীকে কুপ দেন কাউসার এবং পরে শাশুড়ী প্রতিবাদ করায় তাকেও কুপ দেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে দু’জনেরই গলা কাটেন।
এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ কাউসার (৩০) ও তার স্ত্রী লাভলী আক্তার কাঁচপুরে একটি গার্মেন্ট কারখানার শ্রমিক। তারা কাঁচপুর উত্তরপাড়া এলাকায় খায়রুল বাশারের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। গত কয়েকদিন ধরেই তাদের পরিবারে কলহ দেখা দেয়। এর মধ্যে শুক্রবার রাতে তাদের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার রাত ৯টার দিকে ঘরের ভেতরেই স্ত্রী লাভলী ও তার মাকে কুপিয়ে হত্যা করেন কাউসার। পালানোর সময় লোকজন কাউসারকে আটক করে। রাত সাড়ে ৯টায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার ও কাউসারকে আটক করে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোখলেছুর রহমান জানান, ঘাতক কাউসারকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সে হত্যাকাণ্ডের সত্যতা স্বীকার করেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ২নং বাবুরাইল খানকা মোড় এলাকার একটি ফ্ল্যাট বাসায় মামীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে একই পরিবারের পাঁচজনকে হত্যা করে ভাগ্নে। আর এ ঘটনার মাস না পেরোতেই আবারও পরকীয়া প্রেমের জের ধরে স্ত্রী-শাশুড়ীকে হত্যা করেছে জামাতা।