শেরপুর: প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার ১২ ইউনিয়নে প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে বিএনপি।
এসময় কয়েকজন বঞ্চিত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ের তালা ভেঙে ভিতরে থাকা চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. নুরুল আমিন মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চুড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন-পোড়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের মো.ওমর ফারুক, নন্নী ইউনিয়নে মো.আবদুর রশিদ সরকার, রাজনগর ইউনিয়নে আতাউর রহমান, নয়াবিল ইউনিয়নে মো.ইউনুস আলী দেওয়ান, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়নে ফজলুল হক দেলুয়ার, কাকরকান্দি ইউনিয়নে মো.আনিসুর রহমান, নালিতাবাড়ী ইউনিয়নে মো. আশরাফ আলী, রুপনারায়ণ কুড়া ইউনিয়নে আবদুর রহমান তারা, মরিচপুরান ইউনিয়নে আইয়ুব আলী, যোগানিয়া ইউনিয়নে সামেদুল ইসলাম মুন্সি, বাঘবেড় ইউনিয়নে মো.আমিনুল ইসলাম ও কলসপাড় ইউনিয়নে রিয়াজুল করিম।
বঞ্চিত প্রার্থীরা জানায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়নের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচনী বোর্ড প্রার্থী চুড়ান্ত করার কথা। কিন্তু উপজেলায় তারা প্রার্থীদের সঙ্গে আলোচনা না করে। ঢাকায় বসে শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফাহিম চৌধুরী পরামর্শে টাকার বিনিময়ে ১২টি ইউনিয়নের তালিকা চুড়ান্ত করেছে। এটা কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে দাবী করেছেন তারা।
উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ও নালিতাবাড়ী ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজান জানান, সাবেক এমপি ও হুইপ মরহুম জাহেদ আলীর ছেলে ফাহিম চৌধুরীর পরামর্শে ঢাকাতে বসে তাদের মনগড়া প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে। এটা সম্পূর্ন কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত বিরোধী। এসময় কার্যালয় ভাঙচুর ব্যাপারে কিছু জানান না বলে জানান তিনি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো.নুরুল আমিন রাতে মুঠোফোনে জানান, সম্ভ্রাব্য এমপি প্রার্থী ফাহিম চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা করেই প্রার্থীর তালিকা চুড়ান্ত করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে প্রার্থী চুড়ান্ত করার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। কার্যালয়ে ভাঙচুরের বিষয়টা দেখে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেনও জানান তিনি।