ঢাকা : সরকার দফায় দফায় ব্যান্ডউইথের দাম কমালেও গ্রাহক সেই মূল্যে ইন্টারনেট সেবা পায় না। এ বিষয়ে ‘যথাযথ পদক্ষেপ’ নিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশনা দিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ । মন্ত্রণালয় সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে।
বুধবার পাঠানো এক চিঠিতে টেলিযোগাযোগ বিভাগ বিটিআরসিকে বলেছে, ‘সরকার কয়েক দফা সাবমেরিনের ক্যাবলের ব্যান্ডউইথের মূল্য হ্রাস করলেও আইএসপি (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) ও মোবাইল অপারেটরগুলো ভোক্তা পর্যায়ে ব্যান্ডউইথ, ডাটা প্যাকেজ, ইন্টারনেটের মূল্য সে পরিমাণে কমায়নি।’
তাই ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবার সুলভ মূল্য নিশ্চিত করে তা ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে জানাতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দেয়া হয় চিঠিতে।
এ বিষয়ে বিটআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী ড. শাহজাহান মাহমুদ বাংলামেইলকে বলেন, ‘ইন্টারনেটের দাম শুধু ব্যান্ডউইথের ওপর নির্ভর করে না। আরো নানা ফ্যাক্টর কাজ করে। তবে গ্রাহক যেনো সুলভে মানসম্পন্ন সেবা পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে ব্রডব্যান্ডের সজ্ঞা পরিবর্তনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের প্রতি এমবিপিএস ব্যান্ডউইথ মূল্য ছিল ২৭ হাজার টাকা। এরপর কয়েক ধাপে দাম কমিয়ে তা হাজারের ঘরে নিয়ে আসা হয়। সর্বশেষ গত সেপ্টেম্বরে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথের দাম ৪১ শতাংশ কমায় রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি (বিএসসিসিএল)। এ সময় ১০ জিবির (গিগাবিট) প্রতি এমবিপিএস (মেগাবাইট/সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথের দাম রাখা হয় মাত্র ৬২৫ টাকা । আগে যার দাম ছিল এক হাজার ৬৮ টাকা।
দেশের অভ্যন্তরে বর্তমানে প্রয়োজন প্রায় ১২৫ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ। এর মধ্যে বিএসসিসিএল সরবরাহ করে ৩৩ জিবিপিএস। আর বাকি ৯২ জিবিপিএস আইটিসিগুলোর মাধ্যমে ভারত থেকে আসছে।
বিএসসিসিএল, যারা বাংলাদেশের একমাত্র সাবমেরিন কেবল সি-মি-ইউ-৪ এর মালিক। তার হাতে মোট ২০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ আছে। যার প্রায় ৩৩ জিবিপিএস ব্যবহৃত হচ্ছে।
এছাড়া গত বছরের এক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশ ১০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ বাণিজ্যিকভিত্তিতে ভারতে রপ্তানি করছে। এতে বছরে ৯ কোটি ৪২ লাখ টাকা আয় করবে বাংলাদেশ। ভারত চাইলে ৪০ জিপিবিএস পর্যন্ত ব্যান্ডউইডথ রপ্তানি করা হবে।
এদিকে, আগামী বছর দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলে (সি-মি-ইউ-৫) সংযুক্ত হলে দেশে আরো ১ হাজার ৩০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ পাওয়া যাবে।