পৌরসভা নির্বাচনে ভরাডুবির জন্য বিরোধী দলে থেকে মন্ত্রীত্ব নেয়াকে স্পষ্ঠভাবেই দায়ী করেছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। কিন্তু আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও দলটির সেই অবস্থান থেকে যাচ্ছে। তাহলে জাতীয় পার্টির অবস্থা কি আগের মতই শোচনীয় হবে? এরশাদ বললেন, আমি নিজেও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে মনোনীত হয়েছি। আজ বুধবার বনানীর নিজ কার্যালয়ে ইউপি নির্বাচনে দলের মনোনয় প্রত্যাশীদের হাতে প্রত্যয়নপত্র তুলে দেন তিনি। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে এরশাদ বলেন, মন্ত্রীসভা থেকে বেরিয়ে আসার বিষয়ে আমাকে আরও কিছু সময় দিতে হবে। তাছাড়া আমি নিজেও সরকারে আছি। এসবের কারণে যে বাধা সৃষ্ঠি হয়েছে, তা কেটে যাবে। তিনি আরও বলেন, সত্যি কথা বলতে আমি জাতীয় পার্টির ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত ছিলাম। দল দিশেহারা ছিল। কিন্তু সে অবস্থা থেকে আমরা মুক্ত হচ্ছি। তিনি বলেন, আমি আস্তে আস্তে দলের ভার জিএম কাদেরের হাতে তুলে দিচ্ছি। এদিকে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার জানান, ৭৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে গতকাল ২০৫টির প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ২১শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এটা অব্যাহত থাকবে। যদিও এর আগে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল আজ ও কালকের মধ্যেই মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন এরশাদ। এরমাধ্যমেই প্রার্থীতা চূড়ান্ত করা হবে। এই দুদিনের মধ্যেই প্রার্থীদেরকে দলের মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার বেলা ১২টা পর্যন্ত জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে হাতে কয়েকজন ছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দেখা যায়নি। বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এরশাদ ২ থেকে ৩ জনের হাতে প্রত্যয়নপত্র তুলে দেন। ইউপি নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে দলের কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানান, প্রতিটি জেলায় মনিটরিং টিম গঠণ করা হবে। কেন্দ্রীয় ফোরাম তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবে। জাতীয় পার্টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবে। এরমাধ্যমে আমরা আমাদের সাংগঠনিক অবস্থানকে তরান্বিত করতে চাই। জাপায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সংখ্যা কম কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে জিএম কাদের বলেন, সবে তো শুরু হয়েছে। শেষ পর্যন্ত দেখা যাক, কি পরিমান লোক আসে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টি কোনো শঙ্কা প্রকাশ করছে কিনা? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার এখনই কোনো কিছু আশঙ্কা করছি না।