গ্রাম বাংলা ডেস্ক: শাহরুখ খানের সঙ্গে পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় সাব-ইন্সপেক্টর শম্পা হালদারের নাচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছেসম্প্রতি কলকাতার নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ‘বলিউড বাদশাহ’ শাহরুখ খানের সঙ্গে একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার নাচ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। পুলিশের পোশাক পরে শাহরুখের সঙ্গে নেচে বিপাকে পড়েছেন সাব-ইন্সপেক্টর শম্পা হালদার।
শম্পা সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শম্পার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধেও সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।
কলকাতা পুলিশের বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘জয় হো’তে এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন শাহরুখ খান। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে মঞ্চে ‘যব তক হ্যায় জান’ ছবির জনপ্রিয় একটি গানের সঙ্গে নাচতে দেখা যায় শাহরুখ ও শম্পা হালদারকে। গ্যালারি থেকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই নাচ দেখেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শম্পার পাশাপাশি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছেন একাধিক পুলিশ ও রাজনীতিবিদ। সম্প্রতি এক খবরে এমনটিই জানিয়েছে ওয়ান ইন্ডিয়া।
কলকাতার সাবেক পুলিশ কমিশনার নিরুপম সোম বলেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকলে কখনোই কোনো অফিসারকে পুলিশের পোশাক পরে এভাবে নাচার অনুমতি দিতাম না। এর মধ্য দিয়ে পুলিশের পোশাকের পবিত্রতা ক্ষুণ্ন হয়েছে। সাদা পোশাকে নাচলে আমার কোনো আপত্তি থাকত না। কিন্তু পুলিশের পোশাক পরে শম্পা এভাবে নাচার ধৃষ্টতা কীভাবে দেখাতে পারল, তা আমার বোধগম্য নয়। তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাই বা কীভাবে বিষয়টিকে সমর্থন করলেন!’
সাবেক আইপিএস কর্মকর্তা সমীর গঙ্গোপাধ্যায়ও তীব্র সমালোচনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘পুলিশের আচরণবিধি কোনো অবস্থাতেই এভাবে পুলিশের পোশাকে নাচার বিষয়টিকে সমর্থন করে না। আমার ভয় হচ্ছে, ভবিষ্যতে হয়তো আমাদের পুলিশ কর্মকর্তাদের ‘‘দাবাং’’ ছবির চুলবুল পান্ডে চরিত্রটির মতো করে নাচতে দেখব।’
পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশের পোশাক পরে এভাবে নাচার বিষয়টি সংবিধানসম্মত নয়। লজ্জাজনক হলেও সত্য, পুলিশের পোশাকের অমর্যাদার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ওই পুলিশকে এভাবে নাচার অনুমতি দিয়ে তিনিও (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) ভারতের সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন।’