সিএমএম আদালতের কঠোর সমালোচনা করলেন রিজভী

Slider রাজনীতি

 

 

2016_02_13_15_00_22_0Ruoi9HgakpHeGjEC0AfZmEaQHckrj_original

 

 

 

 

ঢাকা : সব মামলায় জামিন হওয়ার পরও মাহমুদুর রহমানকে ‘আটক’ রাখায় সিএমএম আদালতের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেছে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছিলেন দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

বিরভী বলেন, ‘সব মামলায় জামিন হওয়ার পরও সরকার একটি মানহানির মামলায় প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) প্রত্যাহার না করার অজুহাত দেখিয়ে সম্পূর্ণ অন্যায় ও অবৈধভাবে আটকিয়ে রেখেছে। দু’সপ্তাহ ধরে আটকিয়ে রাখার পরে গতকাল পিডব্লিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে, আজ যখন মাহমুদুর রহমানের মুক্তি পাওয়ার কথা ঠিক সেই মুহূর্তে মাহমুদুর রহমানকে আর একটি মামলায় অভিযুক্ত দেখিয়ে আটকিয়ে রাখা হল।’

সিএমএম আদালতের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘মাহমুদুর রহমানের পিডব্লিউ নিয়ে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) যেভাবে ভূমিকা পালন করলেন তা ন্যায়বিচারের চরম পরিপন্থি। একজন মানুষকে কারাগারে বন্দী রেখে কষ্ট দিতে সরকারের ক্রোধ পরিতৃপ্ত করার সহযোগী হিসেবেই সিএমএম দায়িত্ব পালন করলেন। সিএমএম দু’সপ্তাহ ধরে মাহমুদুর রহমানের পিডব্লিউ প্রত্যাহার করতে অপেক্ষা করেছেন সরকারকে সুযোগ দেয়ার জন্য, যাতে সরকার পুরনো একটি মিথ্যা মামলা যে মামলায় মাহমুদুর রহমানের নাম গন্ধ ছিল না সেই মামলায় জড়িয়ে তাকে দীর্ঘদিন আটকিয়ে রাখা যায়।’

মাহমুদুর রহমানের এ ঘটনা দেশের বিচারিক ইতিহাসে এক ন্যাক্কারজনক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে দেশের একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ বিচারক বলেছিলেন যে, মানুষকে আটকে রাখার জন্যই আদালত নয়। ন্যায়বিচারের মাধ্যমে মানুষকে স্বস্তি ও আস্থা সৃষ্টি করাই একজন বিচারকের দায়িত্ব।’

আইরিশ লেখক জর্জ বার্নাড শ এর উদ্ধৃতি টেনে রিজভী বলেন, ‘বহুকাল আগে তার ক্রাইম অব ইমপ্রিজনমেন্ট নামে একটি লেখায় মন্তব্য করেছিলেন- আমি মনে করি, প্রতিটি বিচারকের কিছুকাল কারাবাস হওয়া উচিৎ।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিমউদ্দিন আলম, যুব বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন, সহ-দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, যুবদল দপ্তর সম্পাদক কাজী রফিক, স্বেচ্ছাসেবক দলের যু্গ্ম সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আক্তারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *