সম্প্রতি ৩৬তম বিসিএসে লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্যাডারে দুই হাজার ১৮০ জন নিয়োগ দিতে গত বছরের ৩১ মে ৩৬তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ হাজার ৮৩০ জন। ৩৫তম বিসিএসের বিভিন্ন ক্যাডারে এক হাজার ৭৪৯ জনকে নিয়োগ দিতে মৌখিক পরীক্ষা চলছে। সব মিলিয়ে কর্মযজ্ঞ হয়ে পড়েছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সমকালকে বলেন, ৩৭তম বিসিএসে নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য পিএসসিতে পাঠানো হবে।
৩৭তম বিসিএসে সাধারণ ক্যাডারের মধ্যে প্রশাসনে ৩০০ জন, পররাষ্ট্রে ২০, পুলিশে ১০০, আনসারে সাত, নিরীক্ষা ও হিসাবে সাত, সমবায়ে নয়, অর্থনীতি ছয়, রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিকে একজন, তথ্যে ছয়জন ও ডাক ক্যাডারে নয়জন কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন।
পেশাগত ক্যাডারের মধ্যে মৎস্য ক্যাডারে ৮৩ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। এর মধ্যে উপজেলা পরিচালক পদে ৬৪ জন ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা পদে ১৯ কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন। পশুসম্পদ ক্যাডারে ৪৭ কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন। এর মধ্যে ভেটেরিনারি সার্জন/বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা/থানা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা পদে ৪২ জন, হাঁস-মুরগি উন্নয়ন কর্মকর্তা/প্রাণি উন্নয়ন কর্মকর্তা/সহকারী হাঁস-মুরগি সম্প্রাসারণ কর্মকর্তা/জু অফিসার পদে পাঁচজন কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন। কৃষি ক্যাডারে ৫১ কর্মকর্তা নিয়োগ পাবেন। এর মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা পদে ৫০ জন ও বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদে একজন। বন ক্যাডারে নয়জন, সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে ২২৪ জন এবং কারিগরি শিক্ষা পদে ৬৫ কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হবে। স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দেওয়া হবে ২৯০ জন কর্মকর্তাকে। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ২৭২ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ১৮ জন। খাদ্য ক্যাডারে দু’জন, রেলওয়ে প্রকৌশলী ক্যাডারে আটজন, সড়ক ও জনপথ ক্যাডারে ১২ জন,গণপূর্ত ক্যাডারে ৩৬ জন এবং তথ্য ক্যাডারের সহকারী বেতার প্রকৌশলী পদে আটজন কর্মকর্তাকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সরকারি কর্মকমিশনের সচিব নুরুন্নবী তালুকদার সমকালকে বলেন, অনুমোদনের সারসংক্ষেপ হাতে পেলেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
সূত্র জানায়, মন্ত্রণালয় ও বিভাগের চাহিদা ভিত্তিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ২২টি ক্যাডারে এক হাজার ২০০ কর্মকর্তা নিয়োগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়। প্রস্তাবে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ২০০ পদে নিয়োগের প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রশাসন ক্যাডারে আরও ১০০ কর্মকর্তা বাড়িয়ে ‘১২শ’র পরিবর্তে ১৩শ’ জন করা যায়’ মন্তব্য লিখে প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
যদিও বিসিএসে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরও প্রায় দুই/আড়াই বছর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সময় লাগে বলে চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে প্রশাসনে নিচের স্তরের পদ ফাঁকা থাকে। পদোন্নতি পেতেও বেগ পেতে হয়। এটি যাতে দ্রুত সম্পন্ন করা যায়, সে বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে সরকারি কর্মকমিশন সূত্রে জানা গেছে।
৩৫তম বিসিএস থেকে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর ১০০ বাড়িয়ে ২০০ করা হয়েছে; পরীক্ষার সময়ও বেড়েছে এক ঘণ্টা। মৌখিক পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। লিখিত পরীক্ষায় পাস নম্বর আগের মতোই ৫০ শতাংশ রয়েছে। এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় কোনো বিষয়ে ৩০ শতাংশের কম নম্বর পেলে প্রার্থী কোনো নম্বর পাননি বলে গণ্য হবে, আগে যা ছিল ২৫ শতাংশ নম্বর। বিসিএসের আবেদন ফরমের দাম ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়। – See more at: http://bangla.samakal.net/2016/02/15/193280#sthash.hP27C0n1.dpuf