স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
গ্রাম বাংলা নিউজ২৪.কম
গাজীপুর অফিস: মহানগরের কোনাবাড়ি শিল্পাঞ্চলের কাশিমপুরে একটি পোষাক প্রস্তুত কারখানার এক কর্মী অপহরনের অভিযোগে থানায় জিডি হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে কারখানায় শ্রমিকদের কর্মবিরতি ও ভাঙচূর হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কতৃর্পক্ষ কারখানা বন্ধ ঘোষনা করেছেন।
সোমবার বিকাল সাড়ে ৫টায় জয়দেবপুর থানায় এই সংক্রান্ত একটি জিডি হয়।
জিডিতে বলা হয়, মেহেদী হাসান(২৮) গাজীপুরে স্বপরিবারে বসবাস করে কাশিমপুর এলাকায় মাল্টি ফেবস লিঃ এ কাটিংম্যান পদে চাকুরী করতেন। মেহেদীর পিতার নাম নাজিম উদ্দিন। গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানার গোপালপুর গ্রামে। শনিবার সকালে মেহেদী হাসান যথারীতি কারখানায় যায়। মাসিক বেতন নিয়ে দুপুরে বাইরে যোহরের নামাজ পড়ে আবার কর্মস্থলে প্রবেশ করেন। শনিবার রাতে তিনি আর বাসায় ফিরেন নি।
ভিকটিমের দুলাভাই মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, রোববার কারখানায় গিয়ে জানা গেছে, কারখানার পাঞ্চ সেকশনে(পরিচয়পত্র পরীক্ষন ইউনিট) মেহেদী হাসান কারখানায় প্রবেশ করার পর বারিয়ে গেছেন মর্মে কর্তৃপক্ষের নিকট কোন তথ্য প্রমান নেই। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষ কোন কথা বলতেও রাজি হননি।
হাফিজ আরো জানান, কিছু দিন ধরে মেহেদীর সহকর্মী কাটিং ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম ও কাটিং ইনচার্জ লিটন মিয়ার সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। শনিবার কারখানা কর্তৃপক্ষ বিচার করে রফিকুল ইসলামকে চাকুরীচ্যুত করেন। চাকুরীচ্যুতির পর রফিকুল ইসলাম মেহেদী হাসানকে ২/৩ লাখ টাকা খরচ করে দেখে নেবে বলে হুমকি দেয় মর্মে সংবাদটি মোবাইল ফোনে মেহেদী হাসান তার পরিবারকে জানায়।
এ বিষয়ে চক্রবর্তি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক(এসআই) মিজানুর রহমান বলেছেন, বিষয়টির তদন্ত চলছে।
এদিকে চট্রগ্রামে অভিযানরত গাজীপুর পুলিশের এন্টি কিডনাপিং স্কোয়াডের সদস্য জয়দেবপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক(এএসআই) আব্দুল মমিন পিপিএম জানান, কোনাবাড়ি শিল্পাঞ্চলের বাইমাইল এলাকায় ফুলঝুড়ি গার্মেন্ট নামে একটি পোষাক প্রস্তুত কারখানা থেকে ৭আগস্ট রুহুল আমিন নামে একজন শ্রমিক অপহরন হয়। ভিকটিম উদ্ধারে তারা বর্তমানে চট্রগ্রামে রয়েছেন।