ঢাকা: নিজ নিজ প্রাথমিক স্কুলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে সমাজে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারেকটিভ মাল্টিমিডিয়া ডিজিটাল কনটেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাই কোনো না কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রী ছিলেন। তারা এখন পেশাগত জীবনে বিভিন্ন স্থানে সাফল্য দেখিয়েছেন। কেউ সরকারি চাকরি করছেন, কেউবা আছেন শিক্ষকতায়, আবার কেউ ব্যাংকে চাকরি করছেন। এখন ইচ্ছে করলেই আপনি আপনার শৈশবের স্কুলে সাহায্য করতে পারেন। সুতরাং আপনার স্কুলে আপনি দেন।’
এ সময় এলাকার ধনী, বিত্তবান ও সমাজে প্রতিষ্ঠিতদের নিজ প্রাথমিক স্কুলে একটি করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আনন্দের মাধ্যমে শিশুদের পড়ানোর আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সবাই যে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করবে তা কিন্তু নয়। তাই তাদের পড়ার জন্য বেশি চাপ দেওয়া যাবে না। খেলা আর আনন্দের ছলে তাদের পড়াতে হবে। এতে পড়ালেখার-পাশাপাশি শিশুর মানসিক মনোবলও বাড়বে।
‘মেধার দিক থেকে আমাদের শিশুরা অনেক বেশি মেধাবী’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলতে ডিজিটাল ক্লাস করে দেওয়া হয়েছে।
‘এখন একটা ল্যাপটপ কিনতে বেশি টাকা লাগে না। এসব আমরা সহজ করে দিয়েছি। আমরা সারা বাংলাদেশে সব কিছু ডিজিটাল করে দিয়েছে। সব কিছু এখন সহজ হয়ে গেছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডিগ্রি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেছি। এখন সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করছে ছেলে-মেয়েরা।’
শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের কথা তুলে দরে তিনি বলেন, আমাদের সাক্ষরতা ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য শতভাগে উন্নীত করা। আমরা চাই ছেলে-মেয়েরা উন্নত জীবন-যাপন করুক।
‘যেহেতু বাচ্চারা এ যুগে জন্ম নিয়েছে। ফলে তাদের মেধা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি,’ বলেন শেখ হাসিনা।