বিএনপি নেতারা জেলে থাকলেই খুশি হন অ্যাটর্নি জেনারেল

Slider রাজনীতি

2016_02_13_15_38_11_bnqwzniSwfFwFnB8fbQPOYv06Zq21D_original

 

 

 

 

ঢাকা : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম অন্যকে নির্যাতন করে নিজে আনন্দবোধ করেন। বিএনপি নেতারা কারাগারে থাকলেই তিনি আনন্দিত হন। তিনি রাষ্ট্রের নয়, প্রধানমন্ত্রীর চাকরি করেন।’

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে ‘সুন্দরবন সুরক্ষায় আমাদের করণীয়’-শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি। সুন্দরবন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন’।

রিজভী আহমেদ বলেন, ‘অদ্ভুদ এই দেশ। ভারতের বিরুদ্ধে কথা বললেই দেশপ্রেমের ঘাটতি হয়, এটিকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল মনে করা হয়। শেখ হাসিনা অনেক রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রপ্রধানকে ধমক দেন, উস্মা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কিন্তু একটি দেশের (ভারত) ব্যাপারে তিনি কিছুই বলতে পারেন না। তারা যতই অন্যায় করুক না কেন, কিছুই বলা যাবে না। বাংলাদেশকে নিয়ে ভারতের যে নীতি সেখানে দেখা যায়, আমাদের দেশের জাতীয় স্বার্থ বিনষ্ট হচ্ছে। সেখানে প্রতিবাদ করলেই কি অপরাধ? বিএনপি জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্যই প্রতিবাদ করে।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘একদিকে গবেষণা, অন্যদিকে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দেশের সম্পদ আমরা রক্ষা করব।’

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমকে দেখলে মনে হয়, তিনি ব্যক্তিগতভাবে অসুখী মানুষ। অন্যকে নির্যাতন করে নিজে আনন্দ লাভ করেন। অ্যাটর্নি জেনারেল অপেক্ষা করে থাকেন, বিচারকেরা কোনো জামিন বাতিল করছেন কি-না। আটকাদেশটা বহাল রাখছেন কি-না। এটার জন্য যত ধরনের প্রক্রিয়া এমনকি আদালতের রায় উপেক্ষা করে তার অফিস থেকে জেলখানায় বলে দেওয়া হয়-আমাদের নির্দেশ না যাওয়া পর্যন্ত আপনারা (কারা কর্তৃপক্ষ) আসামিকে ছাড়বেন না। যে কারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক এম এ মান্নান, শওকত মাহমুদ এখনো মুক্তি পান নাই।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘অ্যাটর্নি জেনারেলের এসব করার উদ্দেশ্য, তার চাকরির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কারণ তিনি রাষ্ট্রের নয়, প্রধানমন্ত্রীর চাকরি করেন। বিএনপি নেতারা কারাগারে থাকলেই তিনি আনন্দিত হন। তিনি নাকি রাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় আইন কর্মকর্তা। আমরা জানি, উচ্চ শিক্ষিত লোকের মধ্যে মানবতাবোধ অত্যন্ত প্রখর থাকে। কিন্তু যারা চাকুরির লালসায় কাজ করে, তাদের মধ্যে কোনো মানবতাবোধ থাকে না। সেই এ্যাটর্নি জেনারেল যখন এই ধরনের একটি মানববিধ্বংসী প্রজেক্টে ভূমিকা রাখেন, নিজের চাকুরি রক্ষার্থে তখন তো তিনি গোটা জাতিকেই বিপন্ন করতে দ্বিধা করবেন না।’

সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান  ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ড. মোহাম্মদ শাহজাহান, বিডিএস এর চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সিএইচআরএম এর চেয়ারম্যান অ্যাডেভোকেট ড. মো. জিয়াউর রহমান, এসএসএফ এর সাংগঠনিক অ্যাডভোকেট শেখ তাহসিন আলী, বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *