গাজীপুরে এক কিশোরীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগে বুধবার সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৫) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি গাজীপুর সদর উপজেলার বিকেবাড়ি এলাকার একটি অচল কারখানার নিরাপত্তা ইনচার্জ। এর আগে বিকেলে তার গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী। কিশোরির মা-বা দু’জনেই ওই কারখানার পাশের খলিলুর রহমান কায়কোবাদের বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি গার্মেন্টে চাকুরি করেন।পাশবিকতার স্বীকার শিশুটির মা ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে কলা খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে জাহাঙ্গীর ফুসলিয়ে তার মেয়েটিকে পাশের গজারি বনে যায়। সেখানে সে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এসময় মেয়েটির চিৎকার শুনে প্রতিবেশী এক নারী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে জাহাঙ্গীর মেয়েটিকে বিবস্ত্র অবস্থায় রেখে দৌড়ে কারখানার ভেতরে ঢুকে পড়ে। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। বিকেল ৪টার দিকে তারা ওই কারখানার সামনে জাহাঙ্গীরের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। খবর পেয়ে জয়দেবপুর থানার হোতাপাড়া ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনা স্থলে যায়। ভিকটিম ও প্রত্যক্ষদর্শী নারীর বক্তব্য শোনার পর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ জাহাঙ্গীর হোসেনকে আটক করে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরও জানান, কারখানাটির মালিক ছিলেন যুদ্ধপরাধের দায়ে ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলীসহ তিন ব্যক্তি। কাশেম আলী গ্রেপ্তারের পর কারখানাটি বন্ধ হয়ে যায়। কিছুদিন আগে ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক কারখানাটির একটি অংশ কিনে নেন। বর্তমানে কারখানাটি চালুর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।