চবি : পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক দিন পার না হতেই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষসহ দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে । এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
সোমবারের সংঘর্ষের জের ধরে মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক সংগঠন ’৬৯ ও বিজয় গ্রুপের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে পুলিশ টিয়ালশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনলেও বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
সংঘর্ষে জড়ানো বগিভিত্তিক সংগঠন ’৬৯ সদ্য স্থগিত করা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুর অনুসারী ও অপর বিজয় গ্রুপটি হল সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজনের অনুসারী।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই হাবিবুর রহমান রাতে বাংলামেইলকে বলেন, ‘তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে তারা যার যার হলে ফিরে গেছে।’
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি সাত মাস পার না হতেই তা স্থগিত করেছেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ। বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ফোন করে এ কমিটি স্থগিতের কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।পাশাপাশি পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত এ কমিটির কার্যক্রম স্থগিত থাকবে বলেও জানান তিনি।
একই সাথে গত সোমবার ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষের কারণ তিন দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগকে জানাতে বলা হয়েছে ।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ ছাড়াও ২ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে এ নিয়ে সংঘর্ষ জড়িয়েছে তারা চারবার। এর মধ্যে ২ নভেম্বর সংঘর্ষে পুলিশসহ উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। বারবার এ সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় মূলত এ কমিটি স্থগিত করেছে বলে ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে।