গ্রাম বাংলা ডেস্ক: সাংবাদিকদের গালি ও হুমকির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। আজ রোববার সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মাইদুল ইসলাম প্রধানের স্বারিত এই বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠান মহসিন আলী। বিবৃতিতে মন্ত্রী সিলেটে অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বসে কয়েক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে টিপ্পনী কাটছিলেন দাবি করে বলেন, ওইসব কথা শুনে আমি সইতে না পেরে সিলেটের কিছু স্থানীয় সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলেছি।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমার বক্তৃতায় সাংবাদিকদের প্রতি বিরাগভাজনের যে কথাগুলি বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে তা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি কথাগুলি সকল সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলিনি। আমি বিশ্বাস করি সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা।
মন্ত্রীর অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে বসে কয়েক সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীকে নিয়ে টিপ্পনী কাটছিলেন বলে বিবৃতিতে দাবি করেন মহসীন। তিনি বলেন, আমি ওইসব কথা শুনে সইতে না পেরে হঠাৎ কিছুটা রেগে যাই এবং স্থানীয় কতিপয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা রাগত অবস্থায় বলি। আমার বলা কথাগুলো বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচার করা হয়, যা দেখে আমি কষ্টবোধ করছি।
স্থানীয় দুই একজন সাংবাদিকের উদ্দেশ্যে ওই বক্তব্য দিয়েছেন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, মূলত আমার বলা কথাগুলো ছিল কেবল দুই একজন স্থানীয় কতিপয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে যারা গত কয়েকদিন ধরে আমার বক্তব্যকে বিকৃত করে প্রকাশ করছিলেন। কিন্তু আমার বলা কথাগুলো থেকে দেশের সাংবাদিকগণ আহত হয়েছেন দেখে আমি ভীষণভাবে ব্যথিত ও কষ্ট পেয়েছি। আমার অনিচ্ছাকৃতভাবে বলা কথাগুলো থেকে যদি সাংবাদিকগণ দুঃখ পেয়ে থাকেন আমি তার জন্য আন্তুরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।
সাংবাদিকতাকে একটি মহান পেশা হিসেবে অভিহিত করে বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, এ পেশার প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, আছি এবং থাকব। এই বিবৃতির পর ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী।
গতকাল শনিবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ওই অনুষ্ঠানে মহসিন বলেন, সাংবাদিকরা আর অন্যায় করতে পারবে না, আগেই বলছিলাম আমি ক্রুটি ধরতে সম্প্রচার নীতিমালা হয়েছে। ওই দিন আমি কেবিনেটে থাকলে আরো শাস্তির ব্যবস্থা করতাম, আরো রস বের করে দিতাম।
তিনি বলেন, এখন থেকে সতর্ক হয়ে যান, যা মনে হয় লিখে দিয়েন না। নইলে সিলেটের মানুষকে তোমাদের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিতে সময় লাগবে না। নইলে বিয়ে করে বউ নিয়ে ঘুমাতে পারবেন না।