ভারতে গরু আনতে গিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আলী বাদশা নামের এক বাংলাদেশি। নির্যাতনের এক পর্যায়ে মৃত্যু হলে লাশ ফেলে দেয়া হয় ইছামতি নদীতে।
সোমবার দুপুরে টাউন শ্রীপুর স্লুইচ গেট নামক স্থান থেকে আলী বাদশার ভাসমান লাশ উদ্ধার করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি।
নিহত বাদশা সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার শিবনগর এলাকার মৃত বাবর আলীর ছেলে।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানায়, প্রতিদিনের মতো গত বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে টাউন শ্রীপুর বাজারে যান বাদশা। সেখান থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা কৌশলে তাকেসহ কয়েকজনকে দেবহাটা সীমান্ত সংলগ্ন নদী পার হয়ে ভারতে গরু আনতে পাঠান। সে অনুযায়ী তারা ভারত সীমান্তে পৌঁছলে বিএসএফ তাদের ধাওয়া করে। এ সময় বাদশার সঙ্গীরা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে কোনোভাবে রক্ষা পেলেও তিনি বিএসএফের হাতে ধরা পড়েন।
গত পাঁচদিন ধরে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। এক পর্যায়ে বাদশা মারা গেলে লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয় বিএসএফ। সোমবার দুপুরে টাউন শ্রীপুর স্লুইচ গেট নামক স্থানে তার লাশ ভাসতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়া হলে লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ৩৪ বিজিবির টাউন শ্রীপুর কোম্পানি সদরের নায়েক সুবেদার জানান, অবৈধভাবে সীমান্তে গরু আনা-নেয়া নিষিদ্ধ। বিজিবির চোখ ফাঁকি দিয়ে চোরাই পথে গেলে তো দুর্ঘটনা ঘটবেই।
বাদশার লাশটি উদ্ধার করে দেবহাটা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।