ঢাকা : রাজধানীর মিরপুরে চা বিক্রেতা বাবুল মাতাব্বারকে (৪৫) পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় পুলিশের গফিলতির প্রমাণ মিলেছে তদন্তে। আর সেই বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
আজ রোববার পুলিশ কমিশনারের কছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে একটি মিটিংয়ে থাকায় এ বিষয়ে আর বেশি কিছু বলতে চাননি এ পুলিশ কর্মকর্তা।
ঘটনা তদন্তে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে দু’টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ডিএমপির ডিসি (ডিসিপ্লিন) টুটুল চক্রবর্তীকে নিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে ১ সদস্য বিশিষ্ট একটি এবং মিরপুর বিভাগ থেকে দুই কর্মকর্তাকে নিয়ে অপর কমিটি গঠিত হয়। এ কমিটির সদস্যরা হলেন- মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিনার (এডিসি, ক্রাইম) মাসুদ আহমেদ ও সহকারী কমিশনার (এসি) মাহবুব হোসন। এর মধ্যে ডিসি টুটুল চক্রবর্তী রোববার তার প্রতিবেদন জমা দেন।
অবশ্য চা বিক্রেতা বাবুল মাতাব্বারকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যসহ শাহ আলী থানার ওসি এসএম শাহীন মণ্ডলকে আগেই প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে। বাকি পুলিশ সদস্যরা হলেন- মিরপুর শাহ আলী থানার এসআই নেয়াজ উদ্দিন মোল্লা, মমিনুর রহমান, এএসআই জগেন্দ্র ও কনস্টেবল জসিম উদ্দিন। দায়িত্বে অবহেলার দায়ে তাদেরকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
বাবুল মাতাব্বারকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় তার মেয়ে রোকসানা আক্তার বাদি হয়ে বুধবার রাতেই একটি মামলা করেন। তবে তড়িঘড়ি করে করা সেই মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বাদ দিয়ে পুলিশের সোর্সসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়।
পুলিশের দেয়া আগুনে দগ্ধ চা-বিক্রেতা বাবুল মাতাব্বার বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা যান। তার শরীরের ৯৫ শতাংশই দগ্ধ হয়েছিল।
গত বুধবার দেলোয়ার নামে এক পুলিশ সদস্য চাঁদা না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জ্বলন্ত চুলায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তেল ছিটকে দগ্ধ হন বাবুল।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর শাহ আলী থানাধীন মিরপুর-১ বেড়িবাঁধ কিংশুক সমিতির গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে বাবুলের ছেলে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করেন।