জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা (মুক্তিবার্তা/গেজেট) সংরক্ষিত আছে। সরকার প্রথমবারের মতো রাজাকারদের নামসহ তালিকা করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরকালে সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর, আলশামস এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের সঠিক নামের পূর্ণ তালিকা সরকারিভাবে তৈরি করা হয়নি। এমনকি সংরক্ষণও করা হয়নি। তবে রাজাকারদের নামসহ তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ সরকারের রয়েছে।
একই প্রশ্নকর্তার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত সময়োপযোগী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের চেষ্টা অব্যহত আছে। যারা বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে রাজাকাদের ভাতা দিতো সেই তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই তালিকাসহ সব রাজাকারদের নামসহ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের অপর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের সব মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পরেও তাদের যেন চিনতে পারা যায়, সে লক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের কবর একই ডিজাইনে করা হবে। যাতে কবর দেখলেই বোঝা যায় এটি মুক্তিযোদ্ধার কবর।