ঢাকা: বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে ২৮টি বাল্যবিবাহ ও ৮৪টি ধর্ষণ সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া মোট ৪১৬টি নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে এ সময়।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু জানিয়েছে, ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে মোট ৮৪টি। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সাত জন। এছাড়া ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে এগারো জন নারীকে। শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে নয় জন। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে আট জন।
জানা গেছে, এসিড ও অগ্নিদগ্ধের ঘটনা ঘটেছে ১৬টি। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে নয় জনের। এছাড়া অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৮টি। নারী ও কন্যাশিশু পাচার ও পতিতালয়ে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে সাতটি।
বিভিন্ন কারণে ৭০ জন নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৭ জন। এর মধ্যে হত্যা করা হয়েছে ২০ জনকে।
উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন ১৩ জন। এমন কী বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ২১ জন আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। ৩৮ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে গত এক মাসে বাল্য বিয়ের শিকার হয়েছে ২৮ জন। শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৩৩ জনকে। এছাড়া অন্যান্যরা নানাভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
১৪টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এক মাসে নারী নির্যাতনের এমন তথ্য জানায় মহিলা পরিষদ।
এক মাসে নারী নির্যাতনের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিকে দোষারোপ করছে মহিলা পরিষদ।