ঢাকা: ইতোমধ্যে পুরো বিশ্ব জেনে গেছে কে সেই লিওনেল মেসির ক্ষুদে ভক্ত। সে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের ছোট্ট শিশু মুর্তাজা আহমদি৷ কাবুলের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শহর জাঘোরি তার বসবাস। তবে সেই শহর থেকেও আরও ভিতরে এক গ্রামে থাকে পাঁচ বছরের ছোট্ট আহমদি।
বাস্তবতা বড়ই কঠিন তালেবান অধ্যুষিত জায়গায় মেসি-ভক্ত! তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সৌজন্যে সেই ছোট্ট ছেলেটাই গোটা বিশ্বে আজ পরিচিত। আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি-র ‘সবচেয়ে বড় ভক্ত’ হিসেবে ইতোমধ্যেই চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে আহমদি। নীল-সাদা পলিথিন দিয়ে এই ছোট্ট ছেলেটাই বানিয়েছিল মেসির জার্সি! যে ছবি তুরস্কের এক ফুটবল ভক্তদের ব্লগে ছড়িয়ে পড়েছিল। জার্সি কেনার ক্ষমতা নেই বলে ছোট্ট আহমদি কল্পনা করে জার্সি বানিয়েছে! এটাই মানুষজনকে সবচেয়ে বেশি অবাক করেছে।
এর পরেই শুরু হয় খোজ-খবর। ছোট্ট ছেলেটির নাম জানা যায় কয়েকদিন পরে। আর মুর্তাজার সঙ্গে এবার দেখা করতে আগ্রহী স্বয়ং মেসি। আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে ইতোমধ্যেই যোগাযোগ করেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। লিও মেসি এবং বার্সেলোনার কাছ থেকে ই-মেইল এসেছে আফগান ফুটবল ফেডারেশনের কাছে।
সেই ই-মেইলেই বলা হয়েছে, মুর্তাজা আহমদির সঙ্গে সাক্ষাত করবেন মেসি। নিউজ এজেন্সি এএফপি-র মুখপাত্র সৈয়দ আলি খাজিম জানিয়েছেন, ‘আফগানিস্তান ফুটবল ফেডারেশেন তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, মেসির সঙ্গে তারা যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন।’ খুব শীঘ্রই মেসি আর মুর্তাজার সাক্ষাত হবে। তবে কবে দেখা করবেন বার্সেলোনা স্ট্রাইকার তা এখনও ঠিক হয়নি।
এদিকে মুর্তাজা আহমদির বাবা এক টেলিভিশন চ্যানেলে জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলে ফুটবল ভালবাসে৷ মেসিকে ও প্রাণের চেয়েও বেশি ভালবাসে। মেসির জার্সি কিনে দেওয়ার জন্য ছেলে বায়না করতো। ওকে বুঝিয়েছিলাম আমরা গ্রামে থাকি৷ শহর থেকে তা বহুদূরে। জার্সি কিনে দেওয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। এই কথাগুলো শুনে ও খুব কান্নাকাটি করে। শেষে ওর বড় ভাই ওকে শান্ত করে। পলিথিনের ব্যাগ দিয়ে জার্সি বানাতে ওকে সাহায্য করে। পলিথিনের জার্সি বানানোর পরেই আহমদির মুখে হাসি ফুটেছিল৷ এ বার সেই হাসি আরও বড় হবে। কারণ তার সঙ্গে দেখা করবেন স্বয়ং মেসি। যে তার কাছে ফুটবল দুনিয়া।’