জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সভাপতি আসম আবদুর রব বলেছেন, দেশের রাজনীতিকে নির্বাসন দেয়া হয়েছে। মাহমুদুর রহমান মান্নাকে ষড়যন্ত্র করে জেলে রাখা হয়েছে। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় একই ধারায় বঙ্গবন্ধুকে আটক করা হয়েছিল। এ ধরণের কাজের পরিণতি ভাল হয় না। গতকাল রাজধানীর মিরপুরে আয়োজিত নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবিতে এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে পুলিশ দিয়ে ব্যালট বাক্স ভরে ৪ কে ৪০ বানানো হয়। যারা বলে মাছের রাজা ইলিশ আর দেশের রাজা পুলিশ। সেই পুলিশ দিয়ে আর যাই হোক দেশ চালানো যায় না। যদি আগে জানতাম এ রকম হবে তাহলে মুক্তিযুদ্ধে যেতাম না।
ময়ূরী কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আজ দেশের সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নাম নিয়ে দুর্নীতি করছে, ঘুষ খাচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার উপর অত্যাচার করছে। এটা জানলে আমি নিজে মুক্তিযুদ্ধে যেতাম না। সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট পান আর না পান জনগণের সেবা করার শপথ তো নিয়েছেন। এখন তাহলে সেই জনগণের উপর অত্যাচার করছেন কেন? তিনি বলেন, যে পুলিশ আজ জনগণের উদ্দেশ্যে বলছে আমরাই দেশের রাজা। প্রধানমন্ত্রী তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে ঘটনা বুমেরাং হয়ে যেতে পারে।
তিনি বলেন, সংসদে কোন বিরোধী দল নেই। সবই সরকারের কথায় চলে। এর পরও বিএনপি ও ২০ দল ভাঙ্গার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। বিভিন্নভাবে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। অতীতে কখনও এমন নির্লজ্জভাবে অন্য দল ভাঙ্গার রাজনীতি দেখিনি।
সমাবেশে ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, মাহমুদুর রহমান মান্নাকে আটক করা হলো রাষ্ট্রদ্রোহের একটি ধারায়। আজ এতদিন হয়ে গেল তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন প্রমাণ তো দিতে পারেননি। এমনকি সুনির্দিষ্ট একটি মামলাও করতে পারেনি সরকার। হাসপাতালে আমরা তার উন্নত চিকিৎসার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু নামে মাত্র হাসপাতালে এনে কোন রকম দেখিয়ে আবার তাকে কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। দুই বারের ডাকসুর ভিপি থাকার পরও তাকে সাধারণ হাজতিদের সঙ্গে রাখা হয়েছে। এসময় তিনি অবিলম্বে মাহমুদুর রহমান মান্নার মুক্তির দাবি করেন।
বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, ইংরেজ ও পাকিস্তানিরা আমাদের দেশ শাসন করে টাকা তাদের দেশে নিয়ে যেত। আর আমরা এমন সরকার পেয়েছি যারা দেশ শাসন করে টাকা বিদেশে নিয়ে যায়। এছাড়া তারা দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। আইনের অধিকার ছাড়া আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করছেন। এমন এক অদ্ভূত দেশে বসবাস করছি যেখানে বিচার বিভাগ স্বাধীন। কিন্তু একটি কথার কারণে প্রধান বিচারপতিকে বঙ্গভবনে ডাকা হয়। নাগরিক ঐক্যের ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শহীদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, খায়ুরুল আলম বকুল, নাগরিক ছাত্র ঐক্যের আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, নারী ঐক্যের নেত্রী এডভোকেট রুবি প্রমুখ।