ধামরাইয়ের চরচৌহাট গ্রামে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর দুই স্কুলছাত্রের গলাকাটা লাশ টাঙ্গাইল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সফিকুল ইসলাম নামে এক যুবকে আটক করে গণধোলাই দেয় এলাকাবাসী।
জানা যায়, ধামরাইয়ের চরচৌহাট গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে শাকিল (১০) ও আবু-বক্কর মিয়ার ছেলে ইমরান (১১)। তারা দুজনই বালিয়া ব্র্যাক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। গত ২৭শে জানুয়ারি নিজ বাড়ি থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার হাড়িয়া স্কুল মাঠে খেলা দেখতে যাওয়ার জন্য বের হয়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ ছিল। রাতেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা আত্মীয়স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু সন্ধান না পেয়ে পরদিন এলাকায় মাইকিং করেন। আজ বিকালে ধামরাই সীমান্তবর্তী হাড়িয়ার গ্রামের এক লেবু ক্ষেতে পথচারীরা তাদের গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। পরে খবরটি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে জড়িত সন্দেহে কামারপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সফিকুল ইসলামকে আটক করে। পরে গণধোলাই দিয়ে চর চৌহাট স্কুলের মাঠের পাশের একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়। নিহত শাকিলের বড় ভাই রবিন জানান, গত ২৮শে জানুয়ারি রাতে মোবাইল ফোনে শাকিলের মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। কিন্তু কোথায় টাকা দিবÑ একথা শোনার আগেই মোবাইল ফোনটি কেটে দেয় তারা। ছোট ভাই হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন তিনি। এদিকে দুই স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার দাবি করেন। ওদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ধামরাই থানা পুলিশ পৌঁছায়নি। ধামরাই থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রিজাউল হকের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।