ঢাকা : উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে এবার আসছে চতুর্থ প্রজন্মের প্রযুক্তি ফোরজি। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি শুরু করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। কিন্তু নিলামের আগেই এ প্রযুক্তিতে নজরদারি করতে কারিগরি দক্ষতা অর্জন করতে চায় দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। যাতে তারা মোবাইল কথপোকথন রেকর্ড ও আড়িপাতার কাজটি সহজেই করতে পারে। এজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে তারা।
সূত্র জানিয়েছে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ফোরজি ট্র্যাকার কিনতে ২০ কোটি টাকা চেয়েছে। তারা বলছে, ফোরজি নিলামের আগেই গোয়েন্দা বাহিনীগুলোর জন্য ইন্টারসেপশন প্ল্যাটফরম নিশ্চিত করা প্রয়োজন। তা না হলে প্রয়োজনীয় মনিটরিং করা সম্ভব হয় না। এতে সন্ত্রাসীদের যথাযথভাবে অনুসরণ করা যায় না।
চলতি বছরই ফোরজি চালু হবে বলে সম্প্রতি জানিয়েছেন, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। এজন্য ৭০০ মেগাহার্জ ব্যান্ডের বেতার তরঙ্গ নিলামে বিক্রি করা হবে। বর্তমানে এ সংক্রান্ত নীতিমালা তৈরি করছে বিটিআরসি।
জাতীয় টেলিযোগাযোগ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র (এনটিএমসি) বলছে, থ্রিজি নিলামের আগে এ প্রযুক্তি অনুসরণের কারিগরি দক্ষতা না থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিরোধে বেশ বেগ পেতে হয়। নিলামের প্রায় দেড় বছর পর তারা প্রয়োজনীয় কারিগরি প্ল্যাটফর্ম সুবিধা পায়। ফোরজির বিষয়ে যেন এ সমস্যা না হয় তাই নিলামের আগেই তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চায়।
রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারে ও অপরাধ কার্যক্রমে প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ‘এনটিএমসি’ কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রতিষ্ঠানটি রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে যেকোনো টেলিযোগাযোগ সেবা গ্রহণকারীর আদানপ্রদান করা বার্তা ও কথপোকথন পর্যবেক্ষণ, রেকর্ড ধারণ বা এ সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।