নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুই মামলায় র্যাবের তিন কর্মকার্তা ও নূর হোসেনসহ সব আসামির জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। পরবর্তী অভিযোগ গঠনের শুনানি আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
সাত খুনের ঘটনায় নিহত নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় পাল পৃথকভাবে ওই দুটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে ঢাকার কাশিমপুর কারগার থেকে নারায়ণগঞ্জ আদালতে আনা হয়। এ সময় র্যাবের সাবেক কর্মকর্তা তারেক সাঈদকেও আদালতে হাজির করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি ও আইনজীবী চন্দন সরকারের মেয়ের জামাই বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা মডেল থানায় দুটি মামলা করেন। এর পর থেকে ভারতে পালিয়ে যায় নূর হোসেন। পরে গত ১২ নভেম্বর নূরকে দেশে আনা হয়েছিল। ওইদিন রাত ১১টা ২০মিনিটের দিকে বেনাপোল চেকপোস্টের জিরো পয়েন্ট দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা নূর হোসেনকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করে। পরে গত ১৩ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জে আদালতে উঠানোর পর আদালত কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। পরে নিরাপত্তার কারণে নূরকে প্রথমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ও পরে কাশিমপুর কারাগারে পাঠানো হয়।
এ মামলায় র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ মোট ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যার দায় স্বীকার করে র্যাবের ১৭ জনসহ ২২ জন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন এবং ঘটনার সাক্ষী হিসেবে র্যাব সদস্যসহ ১৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।