ঢাকা : সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদের প্রথম জানাজা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সম্পন্ন হয়েছে। এরপর বেলা ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে তার দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ডিআরইউ প্রাঙ্গনে এ নামাজের জানাজায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সাংবাদিক নেতা মনঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, সাবান মাহমুদ, ডিআরইউএর বর্তমান সভাপতি জামাল উদ্দিন প্রমুখ। জানাজা শেষে আলতাফ মাহমুদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, এরপর তার মরদেহ রাজধানীর রামপুরা বাসায় নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সময় স্বল্পতার কারণে তা আর হচ্ছে না। মরদেহ সরাসরি গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপায় নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখানেই তাকে দাফন করা হবে।
এর আগে সকালে শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক নেতা আলতাফ মাহমুদ। মৃত্যুর সময় বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মৃত্যুর আগে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। গত ১৪ জানুয়ারি স্পাইনাল কডের সমস্যা, মাথার পেছনে ও ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন আলতাফ মাহমুদ। এরপর ২১ জানুয়ারি সকালে তার স্পাইনাল কডের (মেরুদণ্ডের হাড়) অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পরপরই আইসিইউতে নেয়া হয় বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি আলতাফ মাহমুদকে। ২২ জানুয়ারি আলতাফ মাহমুদের জ্ঞানও ফেরে। কিন্তু মাঝখানে একদিনের ব্যপ্তিতে সবাইকে কাঁদিয়ে চলেই গেলেন এই গুণী সাংবাদিক।
পুরোধা এই সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিকতায় এসেছিলেন সত্তর দশকে।