না.গঞ্জে ৭ খুনের ঘটনা তদন্তে দ্বিতীয় দফায় চলছে গণশুনানি

জাতীয়

image_1621_201650_53789ঢাকা: নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরম্নল ইসলাম এবং আইনজীবী চন্দন সরকারসহ ৭ জনকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনা তদন্তে দ্বিতীয় দফা গণশুনানি চলছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সংলগ্ন সার্কিট হাউসে এই গণশুনানি শুরু হয়। চলবে বিকাল পর্যন্ত।

শুনানিতে অংশ নেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর মোঃ শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান।

তিনি দ্বিতীয় দিনে সাক্ষ্য দিতে এসে সাংবাদিকদের বলেন, গণশুনানির আয়োজনটি সিদ্ধিরগঞ্জে হলে ভালো হতো। তাহলে অনেকেই সাড়্গ্য দিতে আসতেন। নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে অনেকেই এখানে আসতে চাইছেন না।

হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদনত্ম কমিটি এর আগে ১২ মে প্রথম দফা গণশুনানি গ্রহণ করে। এতে ৭ জন অংশ নেন।

শুনানিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত ৭ সদস্যের তদনত্ম কমিটির চেয়ারম্যান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ শাহজাহান আলী মোলস্না।

এদিকে এর আগে ১০ মে নারায়ণগঞ্জে ৭ জনকে হত্যার ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদনত্ম কমিটি নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের সাড়্গ্যগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে একসঙ্গে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-২ নজরম্নল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরম্নজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, নজরুলের গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম, আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার এবং তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক ইব্রাহিম অপহৃত হন।

৩০ এপ্রিল বিকালে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ৬ জনের এবং ১ মে সকালে একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত সবারই হাত-পা বাঁধা ছিল। পেটে ছিল আঘাতের চিহ্ন। প্রতিটি লাশ ইটভর্তি দুটি করে বসত্মা বেঁধে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছিল।

এদিকে নজরম্নল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ৪ মে র‌্যাবের বিরম্নদ্ধে গুরম্নতর অভিযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, নজরম্নলসহ অন্যদের র‌্যাব তুলে নিয়ে হত্যা করেছে। এ জন্য আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেনসহ কয়েকজনের কাছ থেকে ৬ কোটি টাকা নিয়েছেন র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *